Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

'খালেদাও বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করেছিলেন’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:৫১ PM
আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:৫১ PM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করেছিলেন বলে জানান, ডাকসুর সাবেক ভিপি, সাবেক সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ।

 শনিবার বিকাল ৫টায় মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনের ঐক্যফ্রন্টের এই প্রার্থী আলোচনার এক পর্যায়ে এটা জানান।

তিনি বলেন, '১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় আমরা একে অন্যের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বলতাম 'জয় বাংলা'। এই স্লোগান কোন দলের স্লোগান নয়, এটা জাতীয় স্লোগান। যদিও যুদ্ধের আগে ছাত্রলীগ এই স্লোগানকে বাংলাদেশের মানুষের মাঝে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল।

সুলতান মনসুর বলেন, 'আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি। উনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশের সংবিধান যদি কেউ মানেন তবে এই সত্যগুলোকে কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না। উনি জাতির অবিসংবাধিত নেতা। যেমনটি ভারতের মহাত্মা গান্ধী ও চীনের মাও সেতুং-কে সেই দেশের মানুষ বিবেচনা করে। শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে তৎকালীন জেনারেল জিয়াউর রহমান ২৭ মার্চ কালুরঘাট থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

সুলতান মনসুর আরও বলেন, মুজিব কোট যে কেউ পারতে পারে। আমি মুজিবকোট পরবো, কিংবা পরবো না সেটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। কেউ আমাকে বলে (মুজিব কোট) পরাতে পারবে না, আবার খুলাতেও পারবে না।'

তিনি আরও বলেন, 'জয়বাংলা স্লোগান, বঙ্গবন্ধু ও মুজিব কোট একক কোনো দলের নয়। একটি রাজনৈতিক দল দলীয় স্বার্থ হাসিলের জন্য সেগুলো ব্যবহার করে থাকে। খালেদা জিয়াও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করেছিলেন। 'জয় বাংলা' স্লোগান, বঙ্গবন্ধু ও মুজিব কোট এগুলো কারও বক্তিগত সম্পদও নয়।

সুলতান মনসুর বলেন, গত ৫ বছর ধরে ভোটারবিহীন নির্বাচনের সরকার দেশ চালাচ্ছে। দেশে গণতন্ত্র নেই। বাক্-স্বাধীনতা নেই। মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। আবার টাকা পাচারকারীদের দলীয় মনোনয়নও দেওয়া হচ্ছে। দুর্নীতিতে দেশ ছেয়ে গেছে। মানুষ এই অবস্থার পরিবর্তন চায়।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র রক্ষায় জনগণের সচেতনতা প্রয়োজন। তাই ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছি। নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র রক্ষা করা হবে।

সুলতান বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এ আসনে (মৌলভীবাজার-২) আমাকে একক প্রার্থী মনোনীত করেছিলেন। কিন্তু, কেন্দ্র থেকে আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এরপর ১২টি বছর কেটে গেছে। ওই সময়ে রাজনৈতিকভাবে কোনো ভূমিকা রাখার সুযোগ পাইনি কিংবা দেওয়া হয়নি। এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলেও যোগ দেয়নি। জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছি।

স্থানীয় রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, স্থানীয় রাজনীতিতে এই ১২টি বছর প্রত্যক্ষভাবে সক্রিয় থাকিনি। কারণ এখানে (কুলাউড়া) রাজনীতিতে আমি সক্রিয় থাকলে রাজনৈতিক কোন্দল সৃষ্টি হতো। সেটি আমি চাইনি।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সংসদ সদস্য, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) এর প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় ঐক্যফন্টের মৌলভীবাজার-২ আসনের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট নওয়াব আলী আব্বাস খান, নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল আলম সোহেল প্রমুখ।

Bootstrap Image Preview