Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

মায়ের কবরেই শায়িত হলেন মঞ্জুর হোসেন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৯:১৪ PM
আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৯:১৪ PM

bdmorning Image Preview


বাংলাদেশের প্রবীণ চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অভিনেতা মঞ্জুর হোসেনকে রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে শনিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে তার মায়ের কবরেই দাফন করা হয়েছে তিনি গত শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর বনানীতে ছেলের বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।

কবরে দাফন করার আগে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (এফডিসি) প্রাঙ্গণে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে আসেন নাট্যজন মামুনুর রশীদ। সে সময় তিনি বলেন, ‘আমার জীবনে এ রকম মানুষ কখনও দেখিনি, যে কখনো বেদনাহত হয়েছে। সব সময় সব পরিস্থিতিতে তিনি বেশ আনন্দমুখর সময়ের মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করতেন। তিনি জীবনটাকে বেশ সুন্দরভাবে উদ্‌যাপন করতেন। একসঙ্গে দীর্ঘ বিমানভ্রমণের অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার। এছাড়া অনেকগুলো নাটকেও আমরা একসঙ্গে অভিনয় করেছি। এ রকম মানুষ হয়তো আমরা আর কখনও পাবো না,  যে কিনা সকল দুঃখ-কষ্টকে খুব সহজে জয় করে নিতো।’

ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি সালাহউদ্দিন লাভলু বলেন, ‘তিনি খুব প্রাণবন্ত একজন মানুষ ছিলেন। সবাইকে খুব আন্তরিকভাবে গ্রহণ করতেন তিনি। অভিনয় জগতের কারও কোনো বিপদের কথা শুনলেই তিনি ছুটে চলে যেতেন। তিনি একটি পা নিয়ে জীবন যাপন করতেন। এক পা ছাড়া অবস্থাতে তাঁর কাজের যে গতি ছিল, তা আমাদের সবাইকে ভীষণভাবে মুগ্ধ করতো। এই বছর আমাদের অনেক অগ্রজ চলে গেছেন। মাথার ওপর থেকে আস্তে আস্তে সব ছায়া সরে যাচ্ছে। আর মঞ্জুর ভাইও তেমনই একজন বটবৃক্ষ ছিলেন।’

বাংলাদেশের বরেণ্য চিত্রনায়ক আলমগীর বলেন, ‘মঞ্জুর ভাই ছিলেন ভীষণ ভালো একজন মানুষ। মানুষের উপকারের নিবেদিত প্রাণ ছিলেন তিনি । আমার সঙ্গেও ছিল তাঁর দারুণ সম্পর্ক। তিনি আমাকেও অনেক স্নেহ করতেন ভালবাসতেন। আজ এমন একটি মানুষকে হারিয়ে সত্যি মনে হচ্ছে মাথার ওপর থেকে ছাঁদটা হারিয়ে ফেললাম। ’

এফিডিসিতে মঞ্জুর হোসেনের জানাজায় আরও উপস্থিত ছিলেন মিশা সওদাগর, আহসান হাবিব নাসিম, মুশফিকুর রহমান গুলজার, জায়েদ খান, খোরশেদ আলম খসরু, নাদের খান, মাসুম বাবুল ও এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর হোসেনসহ আরও অনেকে।

তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। সংগঠনটির সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, ‘তিনি বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যার মধ্যে ভুগছিলেন। তিনি ছিলেন মিরপুরের বাসিন্দা এবং সেখানেও গতকাল সন্ধ্যায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।’

তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছেন। তাঁর অভিনীত প্রথম সিনেমা ছিল ‘রাজধানীর বুকে’। এরপর তিনি ‘হারানো দিন’, ‘ধারাপাত’, ‘সাত রং’, ‘তালাশ’, ‘শীত বিকেল’, ‘বন্ধন’, ‘মিলন’, ‘কাজল’, ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’, ‘কাঞ্চন মালা’, ‘নয়ন তারা’, ‘তুম মেরে হো’, ‘কুলি’, ‘রূপবান’সহ আরও অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

 

Bootstrap Image Preview