চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ছিলা ১০ লক্ষ্য টাকা।কিন্তু সেটা বাংলাদেশ দলের নারী ক্রিকেটার চামেলি খাতুন আয়ত্বের বাইরে ছিল। এদিকে বার বার বিসিসির দ্বারস্থ হয়েও কাজ হচ্ছিল না। এদিকে শারীরিক অবস্থা দিনদিন আরও খারাপ হচ্ছিল। পরবর্তীতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে চামেলীর অসুস্থতার কথা শুনে এগিয়ে আসে অনেকেই। তখনই চামেলির চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে ভারতে চিকিত্সার জন্য আনার উদ্দেগ নেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের তরফে যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়।ভারতের বেঙ্গালুরুর নারায়ণী হাসপাতালে চামেলীর চিকিৎসা চলছিল। জানা গিয়েছে, আগের চেয়ে ভালো আছেন তিনি। একটা সময় প্রায় আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন চামেলী। তবে ফের মনের জোর খুঁজে পেয়েছেন। আবার স্বপ্ন দেখছেন ক্রিকেট মাঠে ফেরার।
সপ্তাহখানেক আগে চামালীর ডান পায়ের লিগামেন্টের অস্ত্রোপচার হয়েছে। ডা. প্রশান্ত তেজওয়ানির তত্ত্বাবধানে রয়েছেন চামেলী। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, চামেলীর পায়ের কন্ডিশন আগের থেকে একটু একটু করে ভালো হচ্ছে। তবে পুরোপুরি সেরে উঠতে মাস ছয়েক লাগবে। তবে আপাতত ছয় মাস তাঁকে বিশ্রামে থাকতে হবে। ১০ ডিসেম্বর দেশে ফেরার কথা চামেলীর। জানা গিয়েছে, মানসিক দিক থেকেও আগের থেকে ভাল জায়গায় রয়েছেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার।
উল্লেখ্য চামেলি খাতুন ১৯৯৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত খেলেছেন বাংলাদেশের মহিলা ক্রিকেট দলের হয়ে খেলেছেন। তবে আট বছর আগে পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার পর থেকে জীবন পাল্টে যায় তাঁর। তারপর তাঁর মেরুদণ্ডের দুটি হাড়ের ডিস্ক নষ্ট হয়ে যায়।শরীরের পুরো ডান পাশ অবশ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল এই অলরাউন্ডারের।