Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় নাম, তবুও ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন জামায়াত নেতারা!

বিডিমর্নিং ডেস্ক-
প্রকাশিত: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:০৪ PM
আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৪:০৩ PM

bdmorning Image Preview


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে ২০৬ আসনে প্রতিনিধি দিয়েছে বিএনপি। বাকিগুলো ২০ দলীয় শরীক জোট ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের জন্যে।  কিন্তু বিএনপির শরীকদের জন্যে রাখা বেশিরভাগ আসনের মনোনীত প্রার্থীই যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়েতের  শীর্ষ নেতা। তাছাড়া বিএনপি থেকে জামায়াতকে দেওয়া ২৫টি আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে জামায়াত।

২০১২ সালে তৎকালীন ৪০ জন জীবিত শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছিল ১৯৭১ সালে মানবতা বিরোধী অপরাধের সাথে জড়িতদের। তালিকায় রাজনীতিতে সক্রিয়, নিষ্ক্রিয়, গুরুত্বপূর্ণ, অগুরুত্বপূর্ণ সব ধরনের নামই ছিল।

এ তালিকায় থাকা গোলাম আযম, মুজাহিদ, কামারুজ্জামান, নিজামী, কাদের মোল্লা, মীর কাশেম, ঘোড়া আজিজ, সাঈদী, আলিম, কাওসার, বাচ্চু, সাকা চৌধুরীসহ অধিকাংশ যুদ্ধাপরাধীদেরকেই বিচারের আওতায় আনা গেছে। এদের অনেকের ফাঁসিও হয়েছে।

বর্তমান সরকার ক্ষমতা আসার পরে সেই তালিকা ধরে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের অনেকের বিচার করেছে এবং ফাঁসি কার্যকর করেছে। প্রার্থী নিয়ে শরিক দলের সঙ্গে বিএনপির এ রশি টানাটানি শুরু হয়েছে কেন্দ্র থেকে। কিন্তু যুদ্ধাপরাধের দায়ে এখনো অভিযুক্ত বেশির ভাগ জামায়েতের নেতাই এবার বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছেন বিভিন্ন এলাকায়।

৪০ জন জীবিত শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের সেই তালিকার মধ্যে জামায়েতের রাজনীতিতে এখনো সক্রিয় আছেন ৮/১০ জন। এদের মধ্যে বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীকে জামায়েতের যারা মনোনয়ন পেয়েছে তারা হলেন, মাওলানা আবদুল হাকিম (ঠাকুরগাঁও-২), গাজী নজরুল ইসলাম (সাতক্ষীরা-৪), মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী (সিলেট-৫), মাওলানা হাবিবুর রহমান (সিলেট-৬), অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার (খুলনা-৫)। তবে গিয়াস কাদের চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৭), আ ন ম শামসুল ইসলাম (চট্টগ্রাম-১৫) এর মনোনয়ন এখনো ঝুলে আছে বিভিন্ন কারণে।

জামায়াত পাচ্ছে যেগুলো

জামায়াতকে মোট ২৫টি আসনে ধানের শীষ প্রতীক দেওয়ার কথা জানা গেছে। আসনগুলো হলো: ঠাকুরগাঁও-২ (আবদুল হাকিম), দিনাজপুর-১ (মোহাম্মদ হানিফ), দিনাজপুর-৬ (আনোয়ারুল ইসলাম), নীলফামারী-২ (মনিরুজ্জামান মন্টু), নীলফামারী-৩ (আজিজুল ইসলাম), গাইবান্ধা-১ (মাজেদুর রহমান সরকার), সিরাজগঞ্জ-৪ (রফিকুল ইসলাম খান), পাবনা-৫ (ইকবাল হুসাইন), ঝিনাইদহ-৩ (মতিয়ার রহমান), যশোর-২ (আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন), বাগেরহাট-৩ (আবদুল ওয়াদুদ), বাগেরহাট-৪ (আবদুল আলীম), খুলনা-৫ (মিয়া গোলাম পরওয়ার), খুলনা-৬ (আবুল কালাম আজাদ), সাতক্ষীরা-২ (আবদুল খালেক), সাতক্ষীরা-৩ (রবিউল বাশার), সাতক্ষীরা-৪ (গাজী নজরুল ইসলাম), পিরোজপুর-১ (শামীম সাঈদী), ঢাকা-১৫ (শফিকুর রহমান), কুমিল্লা-১১ (সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের), চট্টগ্রাম-১৫ (আ ন ম শামসুল ইসলাম), কক্সবাজার-২ (হামিদুর রহমান আযাদ), সিলেট-৫ (ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী), সিলেট-৬ (হাবিবুর রহমান) ও রংপুর-৫ আসন (গোলাম রাব্বানী)।

তবে দিনাজপুর-১ আসনে হানিফ এবং রংপুর-৫ আসনে রাব্বানীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে গেছে। এর বিরুদ্ধে এরই মধ্যে একজন আপিল করেছেন। অন্যজনের বিশেষ কারণে আপিলের সুযোগ রয়ে গেছে।

তবে জামায়াত আরও তিনটি আসনের জন্য চাপাচাপি করছে। এগুলো হলো: চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩, পাবনা-১ ও রাজশাহী-১।

জোটভুক্ত হওয়ার পর থেকে কখনোই জামায়াতকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসন ছাড় দেয়নি বিএনপি। তবে বিএনপিকেও ছাড় দেয়নি জামায়াত। দুটি নির্বাচনেই সেখানে দুই দলেরই প্রার্থী ছিল। তবে ২০০৮ সালে এই সুযোগে আওয়ামী লীগ জিতে আসায় এবার বিএনপি-জামায়াতে সমঝোতা হতেও পারে।

Bootstrap Image Preview