Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

এবার ভিকারুননিসার শিক্ষিকা হাসনা হেনার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভে ছাত্রীরা

বিডিমর্নিং ডেস্ক-
প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৮:৫২ PM
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৮:৫২ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


এবার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকার মুক্তির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা।

প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের একাংশের দাবির ভিত্তিতে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় গ্রেফতার হন শ্রেণিশিক্ষিকা হাসনা হেনা। এরপর এক বৈঠকে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরে আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করে তারা। এর কিছুক্ষণ পর আরেকদল শিক্ষার্থী স্কুলের ১ নম্বর গেটের সামনে অবস্থান করে হাসনা হেনার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে হাতে 'অপরাধীর শাস্তি চাই, হাসনা হেনা আপার মুক্তি চাই' স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ করে তারা। এ সময় তাদের শিক্ষিকাকে নির্দোষ বলেও দাবি করে শিক্ষার্থীরা।

হাসনা হেনার পক্ষে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, আমরা মনে করি হাসনা হেনা আপা নির্দোষ। কেননা, অরিত্রির বাবা-মা হাসনা ম্যাডামকে দোষী সাব্যস্ত করেননি। কিন্তু যারা দোষী তাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। আপাকে মুক্তি না দিলে নতুন করে কমর্সূচি দেয়া হবে।

এ সময় ‘অরিত্রীর হত্যার প্ররোচনাকারী দোষীদের শাস্তি চাই। আমাদের শিক্ষিকা হাসনা হেনা সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমরা হাসনা হেনা আপার মুক্তি চাই’ স্লোগানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তারা।

অপরদিকে বিষয়টি নিয়ে অরিত্রির আত্মহত্যার বিচার দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। যারা মুক্তি দাবি করছে তারা আমাদের সঙ্গের নয়।’

এর আগে দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যা মামলায় গ্রেফতার শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনার জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে নেয়ার আদেশ দেন। এর আগে বুধবার রাত ১১টার দিকে উত্তরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরে হাসনা হেনাকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রভাতি শাখার প্রধান জিনাত আখতার এবং অরিত্রির শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে পল্টন থানায় মামলা করেন অরিত্রির বাবা দিলীপ অধিকারী।

উল্লেখ, গত ৩ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী অরিত্রি অধিকারী।

অরিত্রির আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে তার বাবা দিলীপ অধিকারী সাংবাদিকদের বলেন, ‘অরিত্রির স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। গত রোববার সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের ডেকে পাঠায়। সোমবার স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়, অরিত্রি মোবাইল ফোনে নকল করছিল, তাই তাকে বহিষ্কারের (টিসি দেয়ার) সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার মেয়ের সামনে আমাকে অনেক অপমান করে। এ অপমান এবং পরীক্ষা আর দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

Bootstrap Image Preview