আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলায় অভিযুক্ত ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বরখাস্ত শিক্ষিকা হাসনা হেনার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) এ আদেশ দেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ডিবি পুলিশ পরিদর্শক কারুল হাসান তালুকদার মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য শিক্ষিকা হাসনা হেনাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম জামিনের আবেদন করেন। আর বাদীপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন জামিনের বিরোধিতা করেন।
বিচারক শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ৪টায় ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে শিক্ষিকা হাসনা হেনাকে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
ঢাকার মহানগর হাকিম আবু সাঈদের আদালতে এ মামলার শুনানি হয়। আদালত সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
উল্লেখ, গত ৩ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী অরিত্রি অধিকারী।
অরিত্রির আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে তার বাবা দিলীপ অধিকারী সাংবাদিকদের বলেন, ‘অরিত্রির স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। গত রোববার সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের ডেকে পাঠায়। সোমবার স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়, অরিত্রি মোবাইল ফোনে নকল করছিল, তাই তাকে বহিষ্কারের (টিসি দেয়ার) সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার মেয়ের সামনে আমাকে অনেক অপমান করে। এ অপমান এবং পরীক্ষা আর দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।'
গদকাল বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় অভিযুক্ত অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্যরা।
বুধবার রাতে হাসনা হেনা উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের হোটেল উত্তরা ইনের একটি কক্ষ থেকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পূর্ব জোনের একটি টিম।