Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নানা সমস্যার আরেক নাম আমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

আবুল হাসেম,মাটিরাঙ্গা প্রতিনিধি :
প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০১:০৭ PM
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০১:০৭ PM

bdmorning Image Preview


মাটিরাঙ্গা উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত আমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৬৫ খ্রীঃ স্থাপিত। কিন্তু ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ে নানা সমস্যা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীদের পাঠদান,খেলাধুলা'র ব্যঘাতসহ শ্রেণীকক্ষে বৃষ্টির পানি,রিটার্নিং ওয়াল, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ অতি জরুরি হয়ে পড়ছে।

বিদ্যালয়টি একজন অভিজ্ঞ প্রধান শিক্ষিকাসহ ৭জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারি শিক্ষক/শিক্ষিকা নিয়ে নিয়মিতভাবে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সুন্দরভাবে পাঠদান করে আসছে। আমতলী ইউনিয়নের মডেল বিদ্যালয় এবং পিইসি কেন্দ্র এটি, প্রতিবছর অত্র ইউনিয়নের ১০ টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরিক্ষা দেয়।

বিদ্যালয়টির দক্ষিন পার্শ্বে একটি উচু টিলা ভুমি,ভুমির উপরেই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত। প্রতিবছর বর্ষায় ভুমি ধস হয়ে বিদ্যালয়ের মাঠটি ক্ষয় হয়ে আকারে ছোট হয়ে যায়। যার ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহ্রত একটি মাত্র ছোট মাঠ আরও ছোট হয়ে খেলাধুলার অনুপযোগী হয়ে পড়ে।তাছাড়া পূর্ব  পার্শ্বে মাটিরাঙ্গা তানাক্কাপাড়া সড়ক আর এই সড়কের বুক চিরে প্রতি নিয়ত চলছে বড় বড় ভারী ট্রাক,বাস,সাজেক পরিবহন, জিপ,সিএনজিসহ অন্যান্য যানবাহন।এই পাকা রাস্তার পার্শ্বেই আমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

অত্র বিদ্যালয়ের কচি কচি শিশু শিক্ষার্থীরা মাঠে ছোটাছুটির সময় দৌড় দিয়ে পারাপার হয় রাস্তাটি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কতিপয় অবুঝ শিক্ষার্থীদের ফুটবল খেলতে দেখা যায় রাস্তার পার্শ্বে, বল যখন ছুটে আসে রাস্তায় আর এই বলের পিছু নেয় এক ঝাঁক শিশু শিক্ষার্থী ফলে, যেকোন মূহুর্তেই ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। ঝড়ে যেতে পারে যে কোন কোমলমতি শিক্ষার্থীর প্রাণ। 

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা রত্না দাশ গুপ্তা বলেন,বিদ্যালয়ের নানাবিধ সমস্যার মধ্যে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, ভুমিধস তথা মাঠ ধ্বংস হয়ে যাওয়া ঠেকাতে রিটার্নিং ওয়াল নির্মাণ অতি জরুরি হয়ে পড়েছে, মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকৌশলী'র কার্যালয়ে এর প্রয়োজনীয়তা জানিয়ে আবেদন করেও কোন ফলাফল হয় নি,শীঘ্রই এসব নির্মাণ কাজ না হলে বিদ্যালয়টির বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সহকারি শিক্ষক আব্দুল বাকের ফরহাদ জানান,বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষে বর্ষার সময়ে অনবরত ভাবে উপরের ছাঁদ দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে। ফলে বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র,শিক্ষাউপকরণ, চেয়ার,টেবিল নষ্ট হচ্ছে।এ সমস্যার কারণে প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। যে কোন সময় বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ন ভবন গুলো ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে শিক্ষক/শিক্ষিকা ও কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা। গত ২০১৬/১৭ অর্থবছরের জুন মাসে পুনঃনির্মাণের কাজ করা হলেও ত্রুটিপূর্ণ কাজের জন্য দেয়ালের ছাঁদ বেয়ে প্রতিনিয়ত পানি পড়তে থাকে,দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও উক্ত সমস্যার সমাধান করা না হলে বিদ্যালয়ের বড় ধরণের অপুরনীয় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাকির হোসেন জানান, উপরিউক্ত সমস্যাগুলো সম্পর্কে আমি অবগত আছি,যথাসাধ্য চেষ্টাসাপেক্ষে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো,যথাযথ  কর্তৃপক্ষের সহযোগীতা ছাড়া সবগুলো সমস্যার সমাধান সম্ভব নয় বলেও তিনি জানান।

৮নং আমতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল গনি জানান,আমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নানাবিধ সমস্যা সম্পর্কে আমি অবগত রয়েছি। বাজেট পেলে বিদ্যালয়স্থ নিজ স্থানে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালনের জন্য একটি মাঠ সংস্কার করে দিব। তবে মাঠ সংস্কার করতে গিয়ে দু'একটি গাছ কাটতে হবে সেটা বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ গাছ কাটার ব্যবস্থা করে দিতে হবে বলেও তিনি জানান।

Bootstrap Image Preview