Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

অরিত্রীর মা-বাবার সঙ্গে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের ভিডিও ভাইরাল

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৯:২০ PM
আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৯:২০ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় সারাদেশে সমালোচনার ঝড় বইছে। ইতিমধ্যে কলেজটির অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌসের সঙ্গে অরিত্রির বাবা-মায়ের সাক্ষাতের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে আঙ্গুল দেখিয়ে অরিত্রির বাবা-মাকে শাসাতে দেখা গেছে অধ্যক্ষকে।

গত সোমবার অরিত্রির বাবা-মার সঙ্গে অধ্যক্ষের কক্ষের সেদিনকার একটি সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে। ৪ ডিসেম্বর বুধবার ফুটেজটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

ওই ভিডিওতে দেখা যায়, নাজনীন ফেরদৌসের কক্ষে প্রবেশের পর অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী তার সামনের চেয়ারে বসেন। ওই সময় অরিত্রী ও তার মা পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ক্লিপটিতে কোনো অডিও না থাকায় তাদের কথোপকথন শোনা যায়নি।

এদিকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রি অধিকারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী হিসেবে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার শিফট ইনচার্জ জিনাত আক্তার ও শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বুধবার সচিবালয়ে তদন্ত কমিটির এ প্রতিবেদন তুলে ধরেন। তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে নেয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবেদন অনুযায়ী ওই তিনজনকে আমরা বরখান্তের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গভর্নিং বডিকে নির্দেশ দিচ্ছি। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগ ও বরখাস্তের কাজটি করে গভর্নিং বডি, আমরা সরাসরি করতে পারি না।’

অপরদিকে এ তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে অরিত্রির আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী হিসেবে ‘প্রমাণিত’ হওয়ায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে র‌্যাব ও পুলিশকে চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এদিকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বন্ধসহ ৬ দফা দাবিতে আজও সড়কে অবস্থান নেয় রাজধানীর ভিকারুননিসার শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রির বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরীক্ষায় নকল করার অভিযোগ এনেছিল। এ জন্য অরিত্রির মা-বাবাকে ডেকে নেন ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ।

তাদের ডেকে মেয়ের সামনেই অপমান করে বলেন, সিদ্ধান্ত হয়েছে অরিত্রিকে নকলের অভিযোগে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেয়া হবে। এ অপমান সইতে না পেরে বাসায় এসে অরিত্রি আত্মহত্যা করে।

পুলিশ ও পরিবারের তথ্যানুযায়ী, সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় রাজধানীর শান্তিনগরে সাততলা ভবনের সপ্তম তলায় নিজ ফ্ল্যাটে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় অরিত্রিকে পাওয়া যায়। এর পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চিকিৎসকরা অরিত্রিকে মৃত ঘোষণা করেন।

Bootstrap Image Preview