উপরের ছবি দেখে অনেকেই চমকে উঠতে পারেন! বলতে পারেন কি এই সব? কেনই বা এতো যত্ন করে রোদে শুকানো হচ্ছে? কি করবে বিসিবি এই গুলো দিয়ে?
আসলে খুব কাছ থেকে না দেখলে এই জিনিস চিনতে পারবেন না। কালো পাথরের মত দেখতে জিনিস গুলো আজ কয়েক দিন মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভিতরে খুব যত্ন করে শুকানো হচ্ছে।
স্টেডিয়ামে ঢুকতেই প্রথম দেখায় একটু অবাক হলাম। তাই কৌতুহল হল এই গুলা কি ? জানার জন্য ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলাম কর্মরত এক জন কর্মীর কাছে। জানতে চাইলাম এই গুলি কি? জবাবে তিনি জানালেন, ‘এই গুলা মাটি ভাই।‘
মাটির কথা শুনে কৌতুহল আরো একটু বাড়লো। তাই আরেকটি প্রশ্ন করে বসলাম। বললাম এই মাটি দিয়ে কি হয়, এর বিশেষত্ব কি?
তিনি আরো জানালেন, ‘এই মাটিয়ে দিয়ে উইকেট তৈরি করা হয়। উইকেট তৈরির পর খেলতে খেলতে ভেঙে গেলে মেরামতও করা হয়।এই মাটি এটেল মাটি । এই মাটির মধ্যে অন্য কোন উপাদান নেই।গাজীপুর থেকে আনা হয়েছে। প্রতি ট্রাক ৩০ হাজার টাকা’।
উনার কথা শুনার পর মাটি গুলো একটু ধরে দেখলাম। তখন বুঝতে পারলাম সত্যিই এই মাটি গুলো অন্য মাটির থেকে আলাদা। তাই এতো কদর।
মাটি গুলো প্রথমে গাজীপুর থেকে ট্রাকে বিসিবিতে আনা হয়। এরপর বড় বড় টুকরো করে ত্রিপোয়ালের উপর শুকাতে দেওয়া হয়। তার পর একটু শুকালে টুকরো গুলো আরো ছোট করে শুকাতে দেওয়া হয়। মাটি গুলো যখন পরিপূর্ণ শুকিয়ে যাওয়ার মুখে তখন আরো ছোট টুকরো করা হয়।
এরপর চাতালে ধান যেভাবে শুকাতে দেওয়া হয় সেই ভাবে আবার শুকানো হয়। যখন একে বারে শুকিয়ে যায় তখন বস্তায় পুরে নিদিষ্ট স্থানে সংরক্ষণ করে রাখা হয়।
উইকেট বানানোর পর সেটির কোন ত্রুটি হলে এই মাটি দিয়েই ঠিক করা হয়। যারা নিয়মিত টাইগারদের খেলা মিরপুরের মাঠে বসে বা টিভির পর্দায় দেখেন, তারা এতক্ষণে বুঝতে পারছেন মিরপুরের উইকেট কেন এতো কালো দেখা যায়? আসলে কালো দেখার মূল কারণ হলো এই কালো মাটি।