এখন শীতের সময়। কুয়াশায় আচ্ছন্ন চারিদিক। তখন ও সন্ধা নামেনি। বিকেলের দিকে বিভিন্ন বয়সী লোকজন নিজেদের শরীর ঠিক রাখার জন্য সন্ধ্যার সময় জীবননগর পৌর শহরের লক্ষীপুর মিলপাড়া এলাকায় কেউ হাঁটাহাটি করছেন আবার কেউ বা সখ বসতো একটু ঘুরাঘুরি ঘোরাঘুরি করতে বের হয়।
এমন সময় জীবননগর পৌর সভার একেবারে শেষ প্রান্তের মিল পাড়ায় একটি চায়ের দোকানের সামনে অস্থায়ী ভিক্তিতে তৈরি করা কলাই রুটির দোকান তৈরি করেছেন ৪৫ বছর বয়সী আঃ কাদের। তার প্রত্যেক দিনের নিয়মিত ব্যবসা কলাই রুটি তৈরি করা। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ছুটে আসেন তার হাতে তৈরি কলাই রুটির স্বাদ গ্রহণ করতে। আর এই কলাই রুটির বিক্রি করে চলে আঃ কাদেরের সংসার।
১৯৬৯ সালে পৌর শহরের লক্ষীপুর মিল পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন আঃ কাদের মিয়া। অভাবের তাড়নায় পড়াশোন তেমন করতে পারেনি। তবে টাকার হিসাবটুকু করতে পারেন। খুব অল্প বয়সেই বিয়ে হয় তার। প্রথমদিকে পিঠার তেমন ক্রেতা না থাকলেও দিনদিন কলাই রুটির স্বাদ এলাকার সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে। বর্তমানে জীবননগর মিলপাড়ায় কলাই রুটির চাহিদা ব্যাপক। তবে প্রতিদিন খরচ খরচা বাদ দিয়ে প্রায় ৪০০টাকা হাজিরা থাকে।
কলাই রুটি তৈরির ব্যাপারে আঃ কাদেরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ ২বছর যাবৎ ওই দোকানের সামনে বসে কলাই রুটি তৈরি করছি। প্রথম দিকে ক্রেতা না পেয়ে একটু হতাশ হলেও কয়েক দিন পর থেকে ক্রেতা আমার দোকানে ভিড় জমাতে থাকে। শুধু জীবননগর শহর নয় কলাই রুটি খেতে চুয়াডাঙ্গা থেকেও আসে। তবে প্রতিদিন খরচ পত্র বাদ দিয়ে আমার হাজিরা হয়ে যায়।
কলাই রুটি খেতে আশা ক্রেতা রেদাওয়ান আমিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমাদের অঞ্জলে কলাই রুটি একটি নতুন খাবার। তাছাড়া কলাই রুটির সাথে মরিচ ও সরিষা বাটা খেতে খুব ভালো লাগে। এজন্য সময় পেলে সন্ধ্যা বেলা বন্ধুদের সাথে নিয়ে এখানে কলাই রুটি খেতে চলে আসি। এদিকে প্রতিদিন সন্ধ্যার সময় কলাই রুটি খেতে এখানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় একেবারে চোখে পড়ার মত।