দু'জনে সমান জনপ্রিয় তার নিজ কর্ম জায়গায়। প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির ঝুড়িতে জমেছে অনেক কিছু। একজন হুমায়ুন আহমেদের সাড়া জাগানো অয়োময় নাটকে ‘বাকের ভাই’ চরিত্রের কারণে। অন্যজন কোকিল কণ্ঠের সুবাদে। দু’জন দুই মেরুর হলেও রাজনীতি তাদের এক কাতারে দাঁড় করিয়েছে। যদিও বাকের ভাই খ্যাত আসাদুজ্জামান নূর নাটকের মঞ্চের ন্যায় রাজনীতির মঞ্চেও সফল। সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন নীলফামারী-২ (সদর) আসনে। সে ক্ষেত্রে ব্লাক ডায়মন খ্যাত বেবী নাজনীনের যাত্রা সবে শুরু। সংগীত শিল্পী বেবী নাজনীন বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনে।
১৯৯৮ সালের গোড়ার দিকে নীলফামারীর রাজনীতিতে যুক্ত হন কলেজ জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের তুখোড় বক্তা আসাদুজ্জামান নূর।দেশসেরা আবৃত্তিকার ও নাট্যাভিনেতা, মঞ্চ মাতানো আসাদুজ্জামান নূরের সেই থেকে পথচলা। ২০০১ থেকে টানা নীলফামারী-২ (সদর) আসনের এমপি তিনি। সকলের কাছে সমান জনপ্রিয় ব্যক্তিটি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক গণ্ডি পেরিয়ে সদালাপী হাসোজ্জ্বল সাদামাঠা ব্যক্তি ইমেজ তাকে পাকাপোক্ত করেছে নীলফামারী জেলার রাজনীতিতে।
এবার তার ঐ ইমেজে ভাগ বসাতে আটঘাট বেধে মাঠে নেমেছেন দেশের নামকরা সঙ্গীত শিল্পী “এলোমেলো বাতাসে উড়িয়েছি শাড়ীর আঁচল” দু’চোখে ঘুম আসেনা, তোমাকে দেখার পর” “কাল সারা রাত ছিল স্বরপ্নরও রাত” এমন সব জনপ্রিয় গানের শিল্পী ব্লাক ডায়মন্ড খ্যাত বেবী নাজনীন।
তিনি তার জন্মভূমি অবাঙ্গালী অধ্যুষিত উপজেলা সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত নীলফামারী-৪ সংসদীয় আসনে ধানের শীষ প্রতীকের হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে বহু গ্রুপে বিভক্ত অগোছানো এলোমেলে সৈয়দপুর বিএনপি। উৎফুল্ল নেতাকর্মীরাও। তাকে নিয়ে জনমনেও ব্যাপক কৌতূহল।