বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নোয়াখালী-৫ আসনের নৌকা প্রতীকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর প্রথম কোম্পানীগঞ্জে এসেছেন আজ। তাকে স্বাগত জানাতে জনস্রোতে পরিনত হয়েছে উপজেলার প্রাণকেন্দ্র বসুরহাট এলাকা। তার আগমনকে ঘিরে আনন্দে ভাসছে যেনো পুরো উপজেলা। সড়কের পাশে পথে পথে হাজারো জনতা দাঁড়িয়ে লাল গোলাপ নিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নিজ এলাকায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মোঃ ফয়সল আহমেদের নিকট এ মনোনয়নপত্র জমা দেন।
মনোনয়নপত্র জমা শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, জনবিচ্ছিন্ন দলছুট নেতারা যতোই বিএনপির সঙ্গে হাত মেলাক, বিএনপির ভাঙা হাট আর জমবে না। সারা দেশে নৌকার গণজোয়ারে বিএনপি জনসমর্থন হারিয়ে ফেলেছে।
ওবায়দুল কাদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখিয়ে বলেন, একজন বলেছিল একমাস পর চেহারা বদলে যাবে, কিন্তু কি দেখলেন আপনারা বলুন। লাখো জনতার উপস্থিতি কি জনসমর্থন নয়?
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করতে চাই না, তাই আমার গাড়িতে পতাকা নাই, আমি বাংলো ব্যবহার করি নাই, আমি সরকারি গাড়ি নিয়ে আসি নাই, এটা কি লেভেল প্লেইং ফিল্ড নয়?
এসময় তার সাথে ছিলেন, ফেনী-২ আসনের সাংসদ ও দলের মনোনীত প্রার্থী নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী-৩ আসনের মহাজোট সমর্থিত জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল হক নাজিম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, বসুরহাট পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রেয়াজুল হক লিটন, স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদ সদস্য ফখরুল ইসলাম রাহাত প্রমুখ।