Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পাহারে কমলা চাষে স্বাবলম্বী চাষীরা

এস.কে নাথ, বান্দরবান প্রতিনিধি 
প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০১৮, ০২:০৪ PM
আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৮, ০২:০৮ PM

bdmorning Image Preview


বান্দরবানে চলতি মৌসুমে কমলা বাম্পার ফলন হয়েছে। এবছর জেলার রুমা, থানছি, রোয়াংছড়ি, লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি ও বান্দরবান সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রচুর কমলার আবাদ হয়েছে। ব্যাপক হারে দিন দিন এই ফলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবছর কমলার ভাল ফলন এবং ন্যায্য দাম পাওয়ায় মহা খুশী চাষীরা।

বর্তমানে চাষীরা কমলা বাজারে বিক্রি করতে ব্যস্ত সময় পার করছে। বান্দরবানের পাহাড়ে উৎপাদিত কমলা বিদেশি কমলার মত সুস্বাদু ও আকারে বড় হওয়ায় দেশব্যাপী এর চাহিদাও রয়েছে বেশী।

কৃষি বিভাগের মতে, পার্বত্য এলাকার পাহাড়ের মাটি কমলা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। তাছাড়াও এবছর আবহওয়া ও পরিবেশ অনুকূলে থাকায় কমলা চাষের ফলন হয়েছে। বান্দরবানের উৎপাদিত কমলা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। যদি পরিকল্পিত ভাবে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে কমলা চাষ সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় তাহলে পার্বত্য এলাকার উৎপাদিত কমলা দেশের বাইরেও রপ্তানি করা সম্ভব হবে। চলতি মৌসুমে কমলার বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তবে মৌসুম হিসাবে কমলা দাম তুলনামূলক ভাবে বেড়েছে বলে স্বীকার করেন স্থানীয় চাষীরা।

এদিকে রুমা বাজার ব্যবসায়ী মো: সেলিম ও জেলা শহরের বাজার ব্যবসায়ী দেলওয়ার হোসেন জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর কমলার উৎপাদন ভালো হয়েছে। মৌসুমের শুরুতেই প্রচুর কমলা বাজারে আসছে এবং বেচা-কেনাও ভালো হচ্ছে। আবার অনেকেই বাগান থেকে স্থানীয় বাজারে বিক্রি না করে জেলার বাহিরে বিক্রি করে দিচ্ছেন।

থানচি কমলা চাষী রামথুই ত্রিপুরা এবং রুমা বেথেল পাড়ার কমলা চাষী লালনুন বম জানান, রুমা উপজেলার দাজিলং পাড়া রুমা পাড়া এবছর প্রচুর কমলা চাষ হয়েছে। আকারেও বড় এবং তুলনামূলকভাবে সুস্বাদু। পাহাড়ী এলাকার কমলার মান খুবই ভাল। প্রতি জোড়া কমলা খুচরাবাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা হারে। তবে পাইকারী বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি জোড়া কমলা গড়ে ২০ থেকে ২৫ টাকা হারে। তাদের মতে, বর্তমানে যেসব কবলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে সে কমলা গুলো এখনো বাজারে বিক্রি করার উপযোগী না। আরো কিছুদিন পরে কমলা গুলো বাজারে বিক্রি করলে সবচেয়ে ভাল হতো।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আলতাফ হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ২ হাজার ৯৩ হেক্টর জমিতে কমলার আবাদ হয়েছে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ৩১ হাজার ৩৯৫ মেট্রিক টন। তার মতে, উপজাতীয় চাষীরা স্থানীয়ভাবে পরিচর্যার মাধ্যমে দেশিজাতের কমলার চাষ করে আসছেন দীঘদিন ধরে। তবে কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীদের আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় বাগানে কমলার ফলন বেশি পাচ্ছে চাষীরা। কমলার ফলন বেশি হওয়া ছাড়াও আকারেও বড় এবং তুলনামূলকভাবে সুস্বাদু এবং এই কমলার দাম খুব বেশি। কৃষকরা কমলার আবাদ বৃদ্ধি করার জন্য উৎসাহিত হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী বছর আরোও বেশী জমি কমলা চাষের আওতায় আসবে।  

Bootstrap Image Preview