সড়ক ও জনপথ বিভাগের গাছ কাটার চিহ্ন মুছে দিতে গাছের গোড়ায় বালু দিয়ে ভারাট করলেন অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে অভিযুক্ত মামলার আসামি গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান।
শনিবার (২৪ নভেম্বর) বিভিন্ন অনলাইন ও রবিবার (২৫ নভেম্বর) বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়াতে সরকারি গাছ কাটার খবর প্রকাশিত হলে তা আড়াল করতেই এই কৌশল অবলম্বন করে সেই অধ্যক্ষ।
রবিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অধ্যক্ষ গোদাগাড়ী কলেজের সৌন্দর্য বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে যে গাছগুলো কাটা হয়েছে তার উপর দিয়ে মোটা করে বালু ভরাট করে দিয়ে কর্তনকৃত গাছগুলোর গোড়া ঢেকে দিয়েছে। কলেজের প্রধান গেটের সামনে রাস্তা চওড়া করা হবে এটাই বোঝাতে তিনি বালুগুলো ফেলেছেন।
একজন অধ্যক্ষর বারবার দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া ও অপকর্ম ঢাকতে তার চালাকি কাজের কৌশল নিয়ে এলাকায় ব্যাপক হাসাহাসি হচ্ছে।
এলাকাবাসী জানান, অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান পিন্সিপ্যাল বটে। কিভাবে অপকর্ম ঢাকতে হয় সেটার তার জানা আছে।
এই বিষয়ে রাজশাহী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শামসুজ্জোহার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়েছি। একজন অধ্যক্ষ হয়ে যদি এমন কাণ্ড করে তাহলে তার অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, যে দুর্নীতিবাজ আব্দুর রহমান গত ২৩ নভেম্বর ও ২৪ নভেম্বর গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের সামনে থাকা চারটি আম গাছ ও ৫ টি আমগাছের ডালপালা কেটে নেয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগের অনুমতি ছাড়াই এই গাছ কাঁটা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
ইতোপূর্বে অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে কলেজ গর্ভনিং বডি কর্তৃক তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয় এবং তাকে গর্ভনিংবডি সাময়িক বরখাস্ত করেন। কিন্তু গত ৮ আগস্ট গোদাগাড়ী কলেজ সরকারিকরণের প্রজ্ঞাপন জারি হলে আপাতত তিনি নিজেকে রক্ষা করার একটু সুযোগ পান।
৬ সেপ্টেম্বর কলেজে ফিরে তিনি তার একনায়কোচিত মনোভাবের আগ্রাসী দৃষ্ঠিভঙ্গি দেখাতে থাকেন। উপায় না পেয়ে কলেজের উপাধ্যক্ষ উমরুল হক রাজশাহী কোটে আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন।