Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কম দামের শীতবস্ত্র নিয়ে জমে উঠেছে নরসিংদীর পাইকারি বাজার

সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০১৮, ০৭:৩৫ PM
আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৮, ০৭:৫১ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


নরসিংদীতে শীতের আগমনে গ্রামাঞ্চলের মার্কেটগুলো সহ শহরাঞ্চলের মার্কেটগুলোতেও পাইকারি গরম কাপড়ের বাজার জমে উঠেছে। এই জেলার শেকেরচর বাবুরহাট থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন রং ও নকশার বিপুল পরিমাণ শীতবস্ত্র রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরের অভিজাত বিপণি বিতান ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ দোকানগুলোতে সরবরাহ হচ্ছে।

এদিকে শীতের আগমনে ভোরের আলোয় বৃষ্টি ভেজা ঘাসের কুয়াশাতে গ্রামীণ পর্যায়ের সাধারণ কৃষকরা রাতের ঘুমকে আরাম করতে হাটবাজারে গিয়ে লেপ-তোষকের দোকান থেকে লেপসহ কম্বল কিনতে দেখা যাচ্ছে।

তেমনি এক কৃষক মোঃ কোমল উদ্দিন (৫০) জানান, আমার বাড়িতে শীতের সময় আমার নাতি-নাতনিরা শীতের পিঠা খেতে আসায় রাতের প্রচন্ড শীত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এই লেপ কেনা। 

এই এলাকার কৃষকসহ সাধারণ মানুষের জানান, নরসিংদীর তৈরি শীতবস্ত্রের গুণগতমান ও দাম দুটোই ভালো হওয়ায় সারাদেশ থেকে পাইকারি ক্রেতারা ছুটে আসছেন। এখানে বছরজুড়েই নানা ধরনের পোশাকের ব্যবসা চললেও বিশেষ করে শীতকাল, দুই ঈদ ও দুর্গাপূজার সময়েই বেশি বিক্রি হয়ে থাকে। সে অনুযায়ী এই শীতে এখানকার প্রায় ৩০ হাজার পাইকারি দোকানে হাজার কোটি টাকার শীতবস্ত্র বিক্রি হবে বলে ব্যবসায়ীরা আশা করছেন। 

শনিবার (২৪ নভেম্বর) নরসিংদীর পাঁচদোনা মোড়ের ছনিয়া গার্মেন্টস এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কারখানায় শ্রমিক-কারিগররা এবং দোকানে মালিক-বিক্রয়কর্মীরা বিক্রির কাজে প্রচন্ড চাপ থাকায় ভীষণ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

সনিয়া গার্মেন্টসের এক শ্রমিক শাহিদা জানান, শীত আসলেই আমাদের গার্মেন্টসগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ কাজের চাপ থাকে। তাই আমরা অপারেটররা ওভারটাইম করে কিছুটা লাভের মুখ দেখি।

সিলেট অঞ্চল থেকে আসা মোঃ হোসেন আলী  জানান, এই শেকের চর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কাপড়ের হাট হওয়ায় এখান থেকে পাইকারী দামে কিনে সিলেট নিয়ে বিক্রি করে আমরা কিছুটা লাভের দেখতে পাই। 

কুষ্টিয়া থেকে আসা হাসান উল্লাহ বলেন, প্রতিবছর শীত মৌসুমে এখানে পোশাক কিনতে আসি। এখানকার শীতবস্ত্র দামে কম। আবার তৈরিও হয় বিদেশি পোশাকের আদলে।

বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান বিএলপিন শাড়ি কোম্পানির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা বীতম চন্দ্র সাহা বলেন, মূলত শীতকাল ও ঈদ উৎসবই আমাদের সবচেয়ে বড় মৌসুম। এবারে শীত একটু দেরিতে আসায় বাজার জমতেও দেরি হয়েছে।

আমনত শাহ কোম্পানীর সুপাইভাইজার আলআমিন বলেন, দেশে তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় এই বাজারে চলতি মৌসুমে ব্যবসা অনেকটা নিবিঘœ হচ্ছে। কারণ, বিগত বছরগুলোতে বিদ্যুৎ সমস্যায় তাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হতো। কিন্তু এবার নরসিংদী জেলায় লোডশেডিং কম হওয়ায় তেমন সমস্যা নেই। ফলে তাদের উৎপাদন আগের বছরগুলোর তুলনায় বেড়েছে। তাই চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করা যাচ্ছে।

এছাড়া রাজধানীর মতো এখানে যানজটও নেই। ফলে কেনাকাটা করে পাইকারেরা সহজেই নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরতে পারেন। এসব কারণে ঢাকা থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাইকারদের কাছে দিন দিন আমাদের তৈরি পোশাকের কদর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
 

Bootstrap Image Preview