Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভয়াবহ আর্সেনিক প্রতিরোধে মাঠে নেমেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর

এসএম বাচ্চু, তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০১৮, ০৭:৩২ PM
আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৮, ০৭:৩২ PM

bdmorning Image Preview


তালায় ভয়াবহ আর্সেনিক নামক ভাইরাস প্রতিরোধে স্থানীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর মাঠে নেমেছে।

সম্প্রতি দৈনিক প্রবর্তনসহ জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় ভয়াবহ আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়ে গত ১৭ বছরে একই পরিবারের ৪ জনসহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে খবরটি প্রকাশিত হলে স্থানীয় উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের টনক নড়েছে।বর্তমানে এলাকার ভুক্তভোগী মানুষের মনে স্বস্থির নিশ্বাস কিছুটা হলেও ফিরেছে বলে জানা গেছে। 

সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, তালা উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে জালালপুর, মাগুরা, খলিশখালী এবং খেশরা ইউনিয়নের মানুষ ভয়াবহ আর্সেনিক ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে এর মধ্যে বেশির ভাগ জালালপুর ইউনিয়নের মানুষ মাত্রার অধিক ঝুঁকিতে রয়েছেন। জালালপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণকাটি গ্রামের ভয়াবহ আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়ে গত ১৭ বছরে একই পরিবারের ৪ জনসহ ১৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

এছাড়া একই ইউনিয়নের শ্রীমন্তকাটী গ্রামেও রয়েছে আর্সেনিকের ব্যাপক প্রভাব। এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলো বার বার এলাকা পরিদর্শন এবং জরিপ করলেও অদ্যবধি কোন পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হয়নি তবে এবার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর কঠোর হস্তে কার্যক্রম শুরু করায় এলাকাবাসীর মাঝে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। 

এক ভুক্তভোগী জানান, আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়ে ইতোপূর্বে অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছেন। প্রত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের লোক খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে।

জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু জানান, তালা উপজেলার সবকটি ইউনিয়নে আর্সেনিক নামক রোগে আক্রান্ত। তবে জালালপুর ইউনিয়নে আর্সেনিকের এর মাত্রা ভয়াবহ। ইতোপূর্বে আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়ে কৃষ্ণকাটী গ্রামের একই পরিবারের ৪ জনসহ অনেকেই মারা গেছে। তবে সম্প্রতি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের পক্ষ থেকে উপজেলা সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং কার্যকরি পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ-সহাকরী প্রকৌশলী মোঃ মফিজুর রহমান জানান, কৃষ্ণকাটী গ্রামে আর্সেনিক আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তাতে বর্তমানে গোসল এবং পানযোগ্য পানিতে সহনীয় মাত্রার অনেক ঊর্ধ্বে রয়েছে আর্সেনিকের মাত্রা। বর্তমানে যে পরিস্থিতি রয়েছে তা প্রতিরোধে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব। 

Bootstrap Image Preview