বাসের সিটে তরুণীর সামনে বসেই হস্তমৈথুন করেছেন এক ব্যক্তি। ওই তরুণী তাতে প্রতিবাদ করেন। কিন্তু তার চিৎকার-চেঁচামেচিতেও নির্বিকার থাকেন ওই ব্যক্তি।
আরো নির্বিকার ওই বাসের অন্য যাত্রীরা। শেষে নিজেই ওই ব্যক্তিকে শায়েস্তা করতে সিট থেকে উঠে দাঁড়ান ওই তরুণী। চড়থাপ্পড় মেরে বাস থেকে নামিয়ে ওই ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
গত মঙ্গলবার দিল্লির একটি বাসে এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে ওই তরুণী। এর পর ওই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সংবাদমাধ্যমের কাছে ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে ওই তরুণী জানান, ওই ব্যক্তিকে হস্তমৈথুন করতে দেখে নিষেধ করি। তা সত্ত্বেও একই কাজ করে যেতে থাকেন ওই ব্যক্তি। এর পর চিৎকার শুরু করি। কিন্তু, তাতেও থামেননি মুকেশ নামে ওই ব্যক্তি।
ওই তরুণীর দাবি, ওই লোকটাকে ধরে মারধর করা সময়ও বাসের কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি।
দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার বিজয় কুমার বলেন, অভিযুক্তের পরিচয় জানা গেছে। তার নাম মুকেশ কুমার রঞ্জন। একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ঘটনার সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন মুকেশ। বাসে ৩০ জন যাত্রী থাকলেও তরুণীর সাহায্যের আবেদনে সাড়া দেননি কেউ।
দিল্লির বাসে হস্তমৈথুনের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে লক্ষ্য করে একই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। গোটা ঘটনাটি জানিয়ে ফেসবুকে তা নিয়ে পোস্ট করেন ওই ছাত্রী। দিল্লি ছাড়াও কলকাতাতেই গত মে মাসে একই কাণ্ড ঘটে।