সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তার দেশের বিজয় পশ্চিমা ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবগুলো আরব দেশের বিজয়ের সমতুল্য। জাতিগুলোকে সচেতন করার লক্ষ্যে পার্লামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি এ দিক দিয়ে সিরিয়ার সঙ্গে জর্দানের সম্পর্ক শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে পার্লামেন্ট সদস্যদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
জর্দানের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদল সোমবার দামেস্কে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সিরিয়ায় পশ্চিমা ও কিছু আরব দেশের মদদে সর্ববৃহৎ যে জঙ্গি গোষ্ঠীকে লেলিয়ে দেয়া হয়েছিল সেটি ছিল দায়েশ বা আইএস। সিরিয়ার সেনাবাহিনী মিত্র দেশগুলোর সহযোগিতায় এই গোষ্ঠীকে সেদেশ থেকে প্রায় নির্মূল করে ফেলেছে। বিদেশে অবস্থানরত সিরীয় শরণার্থীরা দেশে ফিরতে শুরু করেছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
প্রেসিডেন্ট আসাদ বলেন, বিগত বছরগুলোতে সিরিয়ার সেনাবাহিনী ও জনগণ জাতীয়তাবাদী চেতনাকে সামনে রেখে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে।
জর্দানের সংসদীয় প্রতিনিধিদলটি সোমবার সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ আল-মুয়াল্লিমের সঙ্গেও বৈঠক করে। বৈঠকে প্রতিবেশী দু’দেশের মধ্যকার ‘নাসিব’ ক্রসিং পুনর্নির্মাণ ও তা খুলে দেয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর আলোকপাত করা হয়। বৈঠকে বলা হয়, দু’দেশের জনগণের অবাধ যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের জন্য ক্রসিংটি আবার চালু করা জরুরি। ২০১১ সালের মার্চ মাসে সিরিয়ায় বিদেশি মদদে সহিংসতা ছড়িয়ে দেয়ার পর এই ক্রসিংটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।