Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভৈরবে বিএনপির ৩০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

রাজীবুল হাসান, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:২৫ PM
আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:২৫ PM

bdmorning Image Preview


পুলিশকে মারধোর ও বিস্ফোরকদ্রব্য ব্যবহারের অভিযোগে সাড়ে তিনশ' বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (১৯ নভেম্বর) সকালে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা বিএপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামিসহ ৩৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত তিনশ' জনকে অভিযুক্ত করে পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

ভৈরব থানার পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) বাহালুল আলম খান জানান, গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় শহরের চন্ডিবের এলাকায় উপজেলা বিএনপি একটি নির্বাচনী কর্মীসভাকে কেন্দ্র করে উদ্ধুত ঘটনায় পুলিশের ৩ সদ্যসকে মারধোর ও বিস্ফোরকদ্রব্য ব্যবহারে অভিযোগে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশের এসআই অভিজিৎ চৌধুরি। পুলিশ অভিযুক্তদের প্রেফতারে অভিযান চালিয়েছে। পুলিশি অভিযানে বিএনপির নেতাকর্মীরা গাঁ ঢাকা দিয়েছে।

উল্লেখ্য, রবিবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের চন্ডিবের এলাকায় একটি নির্বাচনী কর্মীসভা করছিল। বিএনপির এ কর্মীসভাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ বিএনপির সংঘর্ষে পুলিশসহ ১২ জন আহত হয়। ওই ঘটনায় পুলিশের এসআই অভিজিৎ, পুলিশ কনস্টেবল আবদুল হাকিম, কনস্টেবল আবদুর রহমানসহ মোট ১২ জন নেতার্কমী আহত হয়।

এ সময় ৫ থেকে ৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যুবলীগও ছাত্রলীগ কর্মীরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের। এ ছাড়াও রাত ৯টায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীরা উপজেলা বিএনপির ভৈরব বাজারের ডাইলপট্টিস্থ অফিস ভাঙচুর করেছে বলে জানায় বিএনপির নেতার্কমীরা।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রবিবার রাত ৭টার দিকে ভৈরব পৌর শহরের ৯নং ওয়ার্ডের চন্ডিবের মধ্যপাড়া এলাকায় নির্বাচনী কর্মীসভাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও যুবলীগ সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার খবর পেয়ে ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক অভিজিৎ চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এ সময় ইট-পাটকেলের আঘাতে পুলিশের ৪ জন আহত হন। উভয়পক্ষের মারমুখী অবস্থানের কারণে এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যদের সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুজ্জামান।

এ দিকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো: রফিকুল ইসলাম দাবি করেন, তারা ওই এলাকার একটি বাড়িতে নির্বাচনী উঠান বৈঠক করার সময় পৌর যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীরা অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে তিনিসহ ৪ জন নেতাকর্মী আহত হন। এ ছাড়া দলের কর্মী-সমর্থকদের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, রেঁস্তোরায় ও দলীয় অফিস হামলা করে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর যুবলীগের সভাপতি মো: ইমরান হোসেন ইমন জানান, তিনি তার কয়েকজন নেতাকর্মীদের নিয়ে ছাত্রলীগের একটি অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন ওই পথ দিয়ে। তাদের দেখামাত্রই বিএনপি সমর্থকরা তাদের উপর হামলা চালায়। এতে তিনিসহ তার ৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তিনি জানান- ভৈরব বাজারের রেস্তোরা ও বিএনপি অফিস আমরা ভাঙচুর করেনি।

Bootstrap Image Preview