বগুড়ার সারিয়াকান্দি শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস.এম অনন্ত শ্রাবন বিশুর ঘরেই খুন হয়েছে কলেজ ছাত্র নাঈম ইসলাম (২০)। যার প্রমাণ ও আলামত উদ্ধার করেছে, সারিয়াকান্দি থানা পুলিশ।
রবিবার (১৮ নভেম্বর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেফতার বিশুর ভাড়া বাড়ি থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়।
সারিয়াকান্দি-গাবতলীর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তাপশ কুমার পাল উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
সারিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, উপজেলার বাড়ইপাড়া গ্রামের কান্টু মোল্লার ছেলে শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনন্ত শ্রাবন বিশু বাজার এলাকায় সন্তোষ খলিফার বাড়িতে ভাড়া থাকত। গোপনে খবর পেয়ে রবিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। তালা ভেঙে বিশুর শয়ন ঘর ও পাশের একটি ঘর থেকে নিহত ছাত্র নাঈম ইসলামের জুতা, মানিব্যাগ, কলেজ আইডি, গলা কাটার কাজে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি, দু'টি রামদা, দু'টি চাকু, রক্তাক্ত বালিশ, কম্বল, চাদর ও রক্ত মোছার কাপড় পাওয়া যায়।
এদিকে গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতা অনন্ত শ্রাবণ বিশু, তার বন্ধু আতিকুর রহমান, সিহাব বাবু, মনিরুজ্জামান মনির ও অন্তর মিয়াকে রবিবার আদালতে হাজির করে ৫ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল।
নিহত নাঈম গাবতলী উপজেলার মরিয়া গোলাবাড়ি গ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী ইন্তেজার রহমানের ছেলে। সে বগুড়া শহরে বেসরকারি পলিটেকনিক ইন ডিপ্লোমা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে ফোন পেয়ে সে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) সকালে সারিয়াকান্দি বাজারের পূর্বপাশে তার গলাকাটা ও আগুনে ঝলসানো বিকৃত লাশ পাওয়া যায়। ওইদিন রাতেই নিহতের মা নাজমা বেগম ৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এর আগেই পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উল্লেখিত ৫ আসামিকে আটক করেছিল।
পুলিশের ধারণা, পূর্ব কোনো বিরোধ বা নারীঘটিত কারণে ছাত্রলীগ নেতা বিশুর বাড়িতে নাঈমকে ডেকে এনে গলা কেটে হত্যা করা হয়। পরে লাশের পরিচয় গোপন করতেই আগুন দিয়ে লাশ ঝলসে দেওয়া হয়েছিল।
পুলিশ জানায়, রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে।
রিমান্ড মঞ্জুরের সম্পর্কে জানতে চাইলে সারিয়াকান্দি থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আল আমিন বলেন, সন্ধ্যা পৌনে পাঁচটা পর্যন্ত এ সংক্রান্ত কোন চিঠি আমরা পাইনি। চিঠি পেলে অবশ্যই জানানো হবে।