Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

জীবননগরে মুগ, কলাই মাড়ায়ে ব্যস্ত চাষীরা

মোঃ মিঠুন মাহমুদ, জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৮, ০৪:৫১ PM
আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৮, ০৫:১২ PM

bdmorning Image Preview


চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় মুগ, কলাই মাড়ায়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। শীতের আগমন শুরু হতে না হতেই কৃষকরা মাঠ থেকে ফসল কাটতে শুরু করেছে। ধান, পাট, ভুট্রা চাষের পাশাপাশি এ বছর এ উপজেলায় হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে মুগ ও কলাই চাষ। অল্প খরচে মুগ চাষে লাভবান হওয়ায় কৃষকরা এ চাষে দিনে দিনে আগ্রহ বাড়াচ্ছে। তাছাড়া একই জমিতে মুগ চাষের পর, ধান চাষ করায় কৃষকরা একটু বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে।

তাছাড়া মুগের ডালের কোন তুলনা হয় না। মুগ থেকে একদিকে যেমন অর্থ আয় হয় অপরদিকে পরিবারের ডালের চাহিদা মিটে যায়।

উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামের মুগ চাষী মিলন বলেন, এ বছর ৪ বিঘা জমিতে উপশীমুগ ও দেশী মুগ চাষ করে বিঘা প্রতি ৫মন করে ফলন হয়েছে। মুগ বোনা থেকে শুরু করে মাড়ায় করা পর্যন্ত বিঘা প্রতি ২ থেকে ৩ হাজার টাকা খরচ হয়। খরচ খরচা বাদ দিয়ে বর্তমান বাজার হিসাবে বিঘা প্রতি ১০হাজার টাকা লাভ হয়েছে।

তাছাড়া মুগ কেটে একই জমিতে ধান লাগাবো। এই মুগ চাষের পর একই জমিতে ধান লাগাতে পেরে একটি বাড়তি আয় হয়। যার জন্য প্রতি বছরেই মুগ চাষ করা হয়।

একই কথা বলেন উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের মিনাজপুর গ্রামের মুগ চাষী  হাসান আলী, আঃ গফুর,রমজান আলী ,আঃ খালেক তারা বলেন, মুগ চাষে কম খরচ হওয়ায় এ চাষটি একটি লাভজনক চাষ বলা যায়। তাছাড়া এই চাষে খরচ বলতে বীজ ক্রয়, দুটি সেচ, আর একটু সার দেওয়া ছাড়া তেমন কোন খরচ নেই বললেই চলে। সম্প্রতি গত কয়েক বছর যাবৎ  উপজেলায় মুগ চাষ হতোনা বললেই চলতো।

বর্তমানে সরকারি ভাবে কৃষকদের মাঝে  বীজ,সার সহ বিভিন্ন ধরনের উপকরণ দেওয়ার ফলে আবারও নতুন ভাবে মাঠ জুড়ে চাষ হচ্ছে মুগ। তবে বর্তমানে বিভিন্ন জাতের মুগের বীজ বের হওয়া সহ নতুন নতুন পদ্ধতি চাষাবাদ করায় কৃষকরা চাষে লাভবান হচ্ছে।

জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপজেলায় মুগের ফলন অনেক সুন্দর হয়েছে। ত বছরের তুলনায় এ বছর উপজেলায় ব্যাপক হারে মুগ চাষ হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে প্রতিনিয়ত কৃষকদের কৃষি চাষের উপর প্রশিক্ষণ ও সরকারি ভাবে বিনামূল্যে সার, বীজসহ বিভিন্ন ধরনের উপকরণ সরবরাহ করা হচ্ছে। আশা করি আগামীতে উপজেলায় মুগ চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে।     

Bootstrap Image Preview