ভারতের তামিল নাড়ু রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় গাজার তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও অনেকে। রবিবার তামিল নাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামী হতাহতের এ তথ্য জানিয়েছেন। সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তাদের অভিযোগ, ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে সরকারের ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। এতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে নাগাপাট্টনাম ও তিরুভারুর গ্রামের বাসিন্দারা।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছেন, ত্রাণসামগ্রী দুর্গত এলাকায় পৌঁছে দেয়ার জন্য তাদেরকে সরকারের তরফ থেকে কোনো গাড়ি দেয়া হয়নি। ফলে কোদিয়াক্কারি ও মুথুপেত্তায় গ্রামে প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে পৌঁছাতে পারেননি তারা।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এডাপ্পাডি কে পলানিশ্বামী সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি আজ মঙ্গলবার আক্রান্ত জেলাগুলো পরিদর্শনে যাবেন। তিনি বলেন, ঝড়ে এ পর্যন্ত ৭৩৫টি গবাদিপশুর মৃত্যু হয়েছে। ধান, নারিকেল, কলাসহ ৮৮ হাজার হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া সাইক্লোনের আঘাতে এক লাখ ১৭ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষয়ক্ষাত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগ উপকূলীয় এলাকার।
সাইক্লোনে আক্রান্তদের যথার্থ ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যেসব পরিবার ঝড়ে তাদের সদস্যদের হারিয়েছে তাদেরকে ১০ লাখ, গুরুতর আহতদের ১ লাখ ও সামন্য আহতদের ৫০ হাজার করে টাকা দেয়া হবে।’
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুডুকোট্টাই জেলার কোথামাঙ্গালাম গ্রামের বিক্ষুব্ধ বাসিন্দারা পাঁচটি সরকারি গাড়িতে আগুন দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, দুযোর্গ-পূর্ববর্তী ব্যবস্থা নিতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। এ ঘটনায় ৫০ জনকে আটক করা হয়েছে।