Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

নির্দিষ্ট সময় শেষেও সরেনি নির্বাচনের প্রচারণামূলক ব্যানার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:৩৫ AM
আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:৩৫ AM

bdmorning Image Preview


আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণামূলক ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড, দেয়াল লিখনসহ সবকিছু গতকাল দিবাগত রাত ১২টার মধ্যে সরিয়ে ফেলতে নির্দেশনা দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণামূলক ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড, দেয়াল লিখনসহ সবকিছু দিবাগত রাত ১২টার মধ্যে সরিয়ে ফেলতে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এরপরও রাজধানীতে বিভিন্ন ধরনের প্রচারণামূলক কার্যক্রম প্রদর্শিত হচ্ছে।

দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনও জোরোশোরে মাঠে নামেনি। এ কারণে নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও যত্রতত্র নির্বাচনী প্রচারণামূলক ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন শোভা পাচ্ছে।

৯ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন থেকে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে ব্যক্তিগত উদ্যোগ ১৪ নভেম্বরের মধ্যে সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। প্রথম দফায় বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণামূলক কার্যক্রম অপসারণ না হওয়ায় সময় বাড়িয়ে ১৮ নভেম্বর রবিবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।

এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়, প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো প্রচারণা চালানো যাবে না। নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড, গেট, তোরণ বা ঘর, প্যান্ডেল বা আলোকসজ্জা, প্রচারণা ও নির্বাচনী ক্যাম্প থাকলে সেসব বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে সরিয়ে ফেলতে হবে। আর সেটা না হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান (সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ) এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর, পুরান ঢাকা, গুলশান, উত্তরা, মিরপুর এলাকায় বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণামূলক বিভিন্ন ব্যানার, পোস্টার শোভা পাচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, নির্বাচন কমিশন থেকে ঘোষণা দিলেও তারা কোনো প্রার্থী বা সিটি কর্পোরেশনকে কোনো নির্বাচনী প্রচারণা কার্যক্রম অপসারণ করতে দেখেননি।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহুল ইসলাম বলেন, যেদিন গণমাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি ব্যানার, পোস্টারসহ অন্যান্য নির্বাচনী প্রচারণা সরিয়ে ফেলতে হবে। তার পরদিন থেকে আমরা এসব অপসারণ কার্যক্রম শুরু করি। ইতোমধ্যে ডিএনসিসি এলাকার ১ লাখ ১৫ হাজার ব্যানার, ফেস্টুনসহ অন্যান্য প্রচারণামূলক কার্যক্রম অপসারণ করা হয়েছে। তবে দেয়াল লিখন মুছার কার্যক্রম এখনও শুরু করা হয়নি, তবে শিগগিরই এসব অপসারণ করা হয়নি।

Bootstrap Image Preview