Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

পাটকেলঘাটায় পঁচা শুটকি মাছের জমজমাট ব্যবসা!

ইলিয়াস হোসেন, পাটকেলঘাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:৫৬ PM
আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:৫৬ PM

bdmorning Image Preview


সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়ার এনায়েতপুরে দীর্ঘদিন যাবৎ শুটকি পল্লীর গডফাদার খ্যাত হাফিজুর বিশ্বাস, সাত্তার বিশ্বাস, মোঃ হাবু, আজিজুল ইসলাম, মোঃ রুবেল হোসেন সিন্ডিকেট করে পাঁচ জন মিলে গড়ে তুলেছে অবৈধ শুটকি মাছের ব্যবসা। যার কারণে প্রতিদিন শুটকি মাছের পঁচা গন্ধে প্রতিনিয়ত বাড়ছে নানান রোগবালাই। ক্ষতি হচ্ছে কৃষকের যাবতীয় ফসলের। এমনটাই অভিযোগ সবার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের সাথে হাত মিলিয়ে ও প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতিদিন পঁচা পোনাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধ্বংস করে প্রকাশ্যে শুটকি তৈরি করে বাতাসে পঁচা গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ বিপর্যায়ের মধ্যে বসবাস করছে এলাকাবাসী।

পার্শবর্তী এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পঁচা মাছ সংগ্রহ করে মেডিসিনের সাহায্যে এখানে শুটকি করা হয় যা জনসাধারণ ও পরিবেশের জন্য মারাত্নক হুমকি স্বরুপ। এনায়েতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত শুটকি মাছের এ কারখানা। যার কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কোমলমতি বাচ্চা ছেলেমেয়েরা।

এতে বাদ যায়ইনি ছোট ছোট প্রাইমারী, মাদ্রাসা ও হাইস্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ নানান বয়সী মানুষজন। স্থানীয় জনসাধারণের কাছ থেকে জানা যায়, শুটকি পল্লীর পাশের রাস্থা দিয়ে ৩/৪টি গ্রামের ছাত্রছাত্রী ও জনসাধারণ চলাচল করে।

এনায়েতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীরা জানায়, শুটকি মাছের পঁচা গন্ধে আমারা ঠিক মত ক্লাস করতে পারি না। বমি হয়, মাথা ঘুরায়, মাঝে মাঝে পেটও খারাপ হয়।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে স্কুলের এক শিক্ষক জানায়, কেউ এই গডফাদাদের কোন প্রতিবাদ করে না। প্রতিবাদ করলে জীবন নাশের হুমকি দেয়।

এ বিষয়ে শুটকি পল্লীর হাফিজুর বিশ্বাস ও সাত্তার বিশ্বাস বলেন, আমরা সবকিছু ম্যানেজ করেই শুটকির কারখানা চালাই. তাছাড়া আমাদের এলাকায় আমাদের উপরে কথা বলবে এমন কেউ নেই। প্রশাসনসহ সব কিছু ম্যানেজ করা।

শুটকি পল্লীর অনুমোদন আছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমি ইউনিয়ন পরিষদের থেকে ট্রেড লাইসেন্স এনে এ কাজ করি। এ সময় থানা পুলিশ প্রশাসনের উপর দোষ চাপিয়ে দেয় শুটকি পল্লীর গটফাদার হাফিজুর বিশ্বাস ও সাত্তার বিশ্বাস।

এ বিষয়ে পাটকেলঘাটা থানার ওসি মোঃ রেজাউল ইসলাম রেজা বলেন, এসবের কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া আফরিন বলেন, এটা আমার বিষয় নয়। আর এরকম কোন অনুমোদন আইনের বাইরে।

Bootstrap Image Preview