Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

আলীকদমে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে পাহাড় কেটে ইটভাটা তৈরি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:২৯ PM
আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:২৯ PM

bdmorning Image Preview


বান্দরবান প্রতিনিধিঃ

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় কোন ধরনের বৈধতা ছাড়াই তিনটি ইটভাটায় ইট তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৩ অগ্রাহ্য করে ইট তৈরির জন্য মাটি নেওয়া হচ্ছে পার্শ্ববর্তী পাহাড় কেটে। আর জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বনের কাঠ।

সূত্রে জানা গেছে, আলীকদমে স্থাপিত এই তিনটি ইটভাটার কোনটারই বৈধতা নেই। ইতোপূর্বে উপজেলা পরিবেশ ও বন কমিটির সভায় ব্রিকফিল্ডগুলোতে কাঠ পোড়ানোর বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ হয়েছে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা বাস্তবায়ন হয়নি।

সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার পূর্ব পালংপাড়া ও আমতলী এলাকায় ২টি ইটভাটায় ড্রামসিট চিমনী দিয়ে ইটভাড়া গড়ে তুলেছে আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন, শওকত, নাছিরুল আলম। এসব ইটভাটায় লাকড়ি পরিবহনের কারণে গ্রামীণ সড়কগুলো সারা বছরই ক্ষতবিক্ষত থাকে।

ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে রাস্তা, ব্রিজ ও কালভার্ট ভেঙ্গে জনসাধারণের চলাচলে দুর্ভোগ চরমে উঠে। রাস্তাঘাট ধুলায় একাকার হয়ে জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। ইট ভাটাকেন্দ্রিক চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটও গড়ে উঠেছে।

ইটের ভাটায় অবৈধভাবে আহরিত লাকড়ির যোগান দিতে গত কয়েক বছর ধরে প্রতিষ্ঠা হয়েছে কথিত ক্ষুদ্র কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি। এ সমিতির মাধ্যমে প্রতি মণ লাকড়িপ্রতি নির্দিষ্ট হারে চাঁদা তোলা হয়। সে চাঁদার ভাগ যায় বিভিন্ন ঘাটে।

ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৩ এর ৬ ধারায় উল্লেখ আছে, ‘কোন ব্যক্তি ইটভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে জ্বালানী হিসেবে কোন জ্বালানী কাঠ ব্যবহার করতে পারবেন না’।

অপরদিকে, এ আইনের ৪ ধারায় উল্লেখ আছে ‘জেলা প্রশাসকের নিকট হতে লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতিরেকে কোন ব্যক্তি ইট প্রস্তুত করতে পারবেন না’।

৫নং ধারায় বলা আছে, ‘কৃষি জমি বা পাহাড় বা টিলা হতে মাটি কেটে বা সংগ্রহ করে ইটের কাঁচামাল ব্যবহার করা যাবে না’। এ ছাড়াও ‘স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মিত উপজেলা বা ইউনিয়ন বা গ্রামীণ সড়ক ব্যবহার করে কোন ব্যক্তি ভারি যানবাহন দ্বারা ইট বা ইটের কাঁচামাল পরিবহন করা যাবে না’ মর্মে আইনে উল্লেখ আছে।

কিন্তু এসব আইনের কোনটি মানছে না ইটভাটার মালিকরা। এতে করে স্থানীয় মানুষের মাঝে প্রশাসনের তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। 

অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম নিয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজিমুল হায়দার বলেন, আলীকদমে কোন ইটভাটার লাইসেন্স নেই। শীঘ্রই অবৈধ এসব ইট ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

Bootstrap Image Preview