Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৩ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

২৩ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে কাতারের ভিসা কেন্দ্র চালু

হাসান বখস, কাতার প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ১১:০৫ AM
আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ১১:০৫ AM

bdmorning Image Preview


কাতারে বাংলাদেশ থেকে কর্মী আসার আগে নিজ দেশে যাবতীয় প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষ করে আসার যে প্রকল্প হাতে নিয়েছে কাতার কর্তৃপক্ষ, তা ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশে শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন, কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমদ।

তিনি বলেন, এর ফলে কাতার থেকে বাংলাদেশি কর্মী আসার পুরো প্রক্রিয়া আরও সহজতর হবে।

চলতি বছর জুড়ে কাতার বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে কাতার ভিসা কেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা ধরণের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ইতিমধ্যে ঢাকায় বাংলামোটর এলাকায় এবং সিলেটে কাতার ভিসা কেন্দ্র স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। ফলে এখন থেকে কাতারে যেসব বাংলাদেশি কর্মী আসবেন, তারা ঢাকা এবং সিলেটে অবস্থিত কাতার ভিসা কেন্দ্রে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর ও বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্টের কাজ শেষ করে আসতে হবে।

কাতার সরকারের সঙ্গে চুক্তি সাপেক্ষে সিঙ্গাপুর ভিত্তিক বায়োমেট কোম্পানি এই পুরো প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করছে। গত ১২ অক্টোবর প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কায় কাতার ভিসা কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়। পর্যায়ক্রমে ভারতে সাতটি এবং পাকিস্তানে তিনটি ভিসা কেন্দ্র স্থাপনের কাজও চলমান রয়েছে। এছাড়া নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন তিউনিসিয়ায়ও এ প্রকল্প শুরু হবে খুব তাড়াতাড়ি।

কাতার শ্রম মন্ত্রণালয় ও কাতার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েকটি ধাপে এই কাতার ভিসা কেন্দ্রে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। প্রথম পর্যায়ে কাতারের নিয়োগকর্তারা বাংলাদেশি কর্মী বাছাইয়ের পর চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করবে এবং তা অনলাইনে কাতার ভিসা কেন্দ্র বরাবর জমা দেবে। দ্বিতীয় ধাপে কাতার ভিসা কেন্দ্রে চুক্তিপত্র প্রাপ্তির পর কর্মীদের ডাকা হবে এবং এই কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। এসব প্রক্রিয়া বাবদ কর্মীর কাছ থেকে কোনো ফি নেওয়া হবে না, বরং নিয়োগকর্তা চুক্তিপত্র জমাদানের সময় একটি নির্দিষ্ট অর্থ ফি হিসেবে পরিশোধ করবে।

কাতার ভিসা কেন্দ্রে আসার পর ওই কর্মীকে চুক্তিপত্র দেখানো হবে এবং তার সম্মতি ও স্বাক্ষর নেওয়া হবে। এর পরের ধাপে কর্মীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উপযুক্ত প্রমাণিত হলে তার বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্ট করা হবে।

নিজ দেশে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সেরে আসার এই পুরো প্রকল্প বাস্তবায়নে একসঙ্গে কাজ করছে কাতার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও শ্রম মন্ত্রণালয়। কাতার ভিসা কেন্দ্রে সব প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পেলে কাতারে আসতে পারবেন কর্মীরা।

বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা বলছেন, এর ফলে কাতারে আসার পর প্রতারণা ও ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষা পাবেন বাংলাদেশি কর্মীরা। পাশাপাশি কাতারে আসার পর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপযুক্ত বিবেচিত হয়ে দেশে ফেরার শঙ্কাও দূর হবে। এছাড়া কাতারে আসার পর প্রতিষ্ঠান খুঁজে না পাওয়া, কাতারি আইডি না পাওয়া, চুক্তিপত্র না থাকাসহ আরও বেশকিছু সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন প্রবাসী কর্মীরা।

Bootstrap Image Preview