গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ভাঙ্গারহাট এলাকায় ডাক্তার ও নার্স না থাকার অপরাধে শান্তিলতা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের মালিক দেশবন্ধু বিশ্বাসকে (৫০) তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে কোটালীপাড়া থানার পুলিশ তাকে জেল-হাজতে পাঠিয়েছে। এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক কোটালীপাড়ার ইউএনও এসএম মাহফুজুর রহমান এ সাজা প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত দেশবন্ধু বিশ্বাসের বাড়ি উপজেলার লাটেঙ্গা গ্রামে।
জানা যায়, গত ৯ নভেম্বর কোটালীপাড়া উপজেলার পিড়ীরবাড়ী গ্রামের বিধান হালদার তার গর্ভবতী স্ত্রী বিথী হালদারকে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করেন। সেখানে বিথীর সিজারিয়ান অপারেশনের পর থেকে সে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং এখনও সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পরে তার স্বামী বিধান হালদার কোটালীপাড়ার ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ করলে শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি ভ্রাম্যমান আদালত ওই শান্তিলতা ক্লিনিকে অভিযান চালায়। এ সময় আদালতের বিচারক ওই ক্লিনিকে চিকিৎসক ও নার্স না থাকা এবং ভূয়া ডাক্তার সেজে অপারেশন করার অভিযোগে ক্লিনিকের মালিক দেশবন্ধু বিশ্বাসকে তিন মাসের কারাদণ্ডের রায় প্রদান করে তাকে জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কোটালীপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুল ফারুক ওই ক্লিনিক-মালিক দেশবন্ধুকে জেল-হাজতে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।