আসছে হাড় কাঁপানো শীত, আর এই শীতে সুস্থ থাকতে খাবারে সচেতনতার বিকল্প নেই। আর এই শীতে খাদ্যভ্যাসে ঘি যোগ করাটা অনেক দিক দিয়েই আপনার উপকারে আসতে পারে। অনেকেই ডায়েটের কথা ভেবে ঘি থেকে দূরে থাকেন কিন্ত পরিমিত পরিমাণে খাওয়া হলে ঘি বেশ স্বাস্থ্যকর, সেটা শীত কিংবা অন্য মৌসুমে।
- বন্ধ নাক খোলার জন্য আয়ুর্বেদে ঘি ব্যবহার করার কথা বলা আছে। কেনোনা শীতকাল এলেই অনেকের ঠাণ্ডা লেগে যায়, সর্দিতে নাক বন্ধ হয়ে থাকে দিনের পর দিন। ঘি খাওয়া তো বটেই, সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কয়েক ফোঁটা কুসুম গরম ঘি নাকে দেওয়া যেতে পারে।
- আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী ঘি এমন একটি উপাদান যা শীতে শরীর গরম রাখতে কার্যকারী একটি উপাদান। কিছু খাবার শরীর গরম করে, আর কিছু খাবার শরীর ঠাণ্ডা করে। তার মধ্যে ঘি অন্যতম।ঘি ব্যবহার করে সবজি, ভাজি তৈরি করতে পারেন, পরোটা ভাজার সময়ে ব্যবহার করতে পারেন বা গরম ভাতেও ঘি নিতে পারেন।
- ত্বক ভালো রাখার জন্য খাদ্যভ্যাসে তেল ও চর্বি থাকাটা অপরিহার্য। ঘি এদিক দিয়ে খুবই উপকারী। কারণ তা শুষ্ক, রুক্ষ ত্বকে পুষ্টি যোগায়। এছাড়া ত্বকের কোষ আর্দ্র রাখতেও ঘি কার্যকরী। এমনকি শুষ্ক ত্বক কোমল করে তুলতে ব্যবহার করতে পারেন ঘিয়ের ফেসপ্যাক। ২ টেবিল চামচ ঘি ও ২ টেবিল চামচ বেসন বা হলুদ গুঁড়ো প্রয়োজনমতো পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। তা মুখে মাখিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহার করতে পারেন এই ফেসপ্যাক।
- কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতেও ঘি কার্যকারী। শীতকালে গরম গরম ভাজাভুজি বা তেলতেলে খাবারগুলো বেশি খাওয়া হয়। এ কারণে হজমে সমস্যা হয় অনেকের। কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় অহরহ। এ সমস্যাটি দূর করতে ঘি কার্যকরী। এক কাপ গরম দুধে ১-২ চা চামচ ঘি মিশিয়ে পান করুন ঘুমাতে যাবার আগে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
- শীত এলে সহজেই ক্লান্তি জেঁকে বসে শরীরে। এই ক্লান্তির বড় একটি কারণ হলো ঠাণ্ডা আবহাওয়া। ক্লান্তি দূর করতে দারুণ কাজে আসতে পারে ঘি, কারণ তা শক্তির ভালো একটি উৎস।