চাঁদপুরে নেশার টাকা না পেয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পণ করেছে মাদকাসক্ত পুত্র। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলার ইচলী এলাকার গাজী বাড়িত এ ঘটনা ঘটে।
ষাটোর্ধ্ব মুছা গাজী পেশায় চায়ের দোকানদার ছিলেন। তিনি স্থানীয় একটি মসজিদের কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বও পালন করছিলেন।
এ ব্যাপারে নিহতের বড় ছেলে আলম গাজী চাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ উত্তর ইচুলি গাজী বাড়ি থেকে নিহত মুছা গাজীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
বাড়ির লোকজন জানায়, গাজী বাড়ির মৃত সেকান্তর গাজীর ছেলে মুছা গাজী (৭৫) মান্নান মিজি বাড়ি সংলগ্ন উত্তর ইচলি বায়তুল আমিন জামে মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। সকাল ৮টা থেকে সোয়া ৮টার মধ্যে মুছা গাজীর ২য় ছেলে মোহাম্মদ হোসেন গাজী (২৫) ঘুমন্ত অবস্থায় তার বাবাকে ধারালো দা দিয়ে এলোপাথারি ভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। মুছা গাজীর চিৎকারে বাড়ির লোকজন দ্রুত ছুটে আসলে মোহাম্মদ হোসেন বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত মুছা গাজীকে চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করে। পথেই মুছা গাজী মৃত্যু হয়।
মুছা গাজীর বড় ছেলে আলম গাজী জানান, আমার বাবা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতো। তিনি উত্তর ইচলি বায়তুল আমিন জামে মসজিদের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন।
তিনি আরো জানান, মোহাম্মদ গাজী দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। সে এক সময় সিএনজি স্কুটার চালাতো। নেশার কারণে এ পর্যন্ত ৪টি সিএনজি স্কুটার পুড়িয়ে দিয়েছে। সকালে নেশার টাকার জন্য বাবাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। আমরা ইতিপূর্বে তাকে বেশ কয়েক বার মানসিক চিকিৎসা করিয়েছি। কিন্তু হাসাপাতাল থেকে সুস্থ্য হয়ে এসে আবারো নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম খলিল জানান, পিতার হত্যাকারি ঘাতক পুত্র মোহাম্মদ হোসেন চাঁদপুর মডেল থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছে।