কাপড়ের ব্যাগ থেকে পাওয়া সেই নবজাতককে বাঁচানো গেল না

রাজধানীর গেণ্ডারিয়ার স্বামীবাগে কাপড়ের ব্যাগ থেকে জীবিত উদ্ধার করা সেই নবজাতকটি মারা গেছে।

আজ শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি। এর আগে সকালে প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই নবজাতকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে নবজাতক (২১১ নং) ওয়ার্ডে শিশুটি মারা যায়।

চিকিৎসকরা জানান, নবজাতকের মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। অবস্থাও গুরুতর।

স্থানীয়রা জানান, দুজন নারী-পুরুষকে চটের ব্যাগটি স্কুলশিক্ষক রোমানার বাসার সামনে রেখে চলে যান। কিছুক্ষণ পর তারা ওই শিক্ষককে জানালে তিনি ব্যাগটি খুলে ভেতরে নবজাতকটিকে পান। আশঙ্কাজনক হওয়ায় তিনি শিশুটিকে ঢামেক হাসপাতালের নবজাতক ইউনিটে ভর্তি করেন।

শিক্ষিকা রোমানা আক্তার বলেন, এলাকার একটি বাসার সামনে পরিত্যক্ত জায়গায় হলুদ ও নেভি ব্লু রঙের কাপড়ের ব্যাগে কিছু একটা নড়াচড়া করছে বলে প্রতিবেশীদের কাছে জানতে পারি। ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে মনে হয়েছিল বিড়ালের বাচ্চা। তবে কান্নার শব্দ শুনে কাপড়ের ব্যাগটি খুলে দেখা যায় জীবন্ত নবজাতক। এ খবরে দ্রুত আশপাশের লোকজনও ভিড় করে।

পরে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের সহযোগিতায় নবজাতককে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের ২১১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

নবজাতক ওয়ার্ডের চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি জানান, নবজাতকের ওজন ৭৯০ গ্রাম। ধারণা করা হচ্ছে, কোনো একটি ক্লিনিকে গর্ভপাত ঘটানো হয়েছে। নবজাতকের নাভিতে ক্লিপ লাগানো ছিল।