আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তিন সপ্তাহ পেছানোর দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব ও ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা জাতীয় নির্বাচনের তারিখ তিন সপ্তাহ পেছানোর জন্য নির্বাচন কমিশনকে দাবি জানিয়েছিলাম। তারা বলেছে, নির্বাচন পেছানো যায় কিনা তা আলাপ-আলোচনা করে পরে জানানো হবে।
বুধবার বিকালে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান মির্জা ফখরুল।
সংবাদিকদের মির্জা ফখরুল আরও জানান, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে হয়রানি ও গায়েবি মামলার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদেরকে মামলার বিষয়ে অবহিত করেছি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আর কাউকে যেন গ্রেফতার করা না হয়। এ বিষয়ে তারা হয়রানি ও গায়েবি মামলার মামলার তালিকা চেয়েছেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন চলাকালে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কোনো বাধা থাকবে না বলেও নিশ্চিত করেছে কমিশন।
নির্বাচনে সেনাবাহিনীর নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসিসহ সেনাবাহিনী নিয়োগের জন্য বলেছি, তারা বলেছে বিষয়টি বিবেচনা করবে। নির্বাচনের আগে জনপ্রসাশন ও পুলিশ প্রসাশনের রদবদরের কথা বলেছি। তারা এটাকেও ভেবে দেখবে বলে জানিয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার রাজনৈতিক পরিচয় তৈরির আহ্বান জানানো হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচনে যারা রিটানিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে তাদের রাজনৈতিক তালিকা তৈরির জন্য আমরা বলেছি, এ বিষয়ে কমিশন আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।
এরআগে ইসির সঙ্গে বিকাল সাড়ে ৩টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বৈঠকে বসে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেয়। অপর দিকে কমিশনের পক্ষে বৈঠকে সিইসি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা ছিলেন।
বৈঠকে ড. কামাল হোসেন ও মির্জা ফখরুল ছাড়াও অংশ নেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, কাদের সিদ্দিকী, সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, মোকাব্বির খান, মাহমুদুর রহমান মান্না, এসএম আকরাম, আবদুল মালেক রতন, সুলতান মো. মনসুর আহমদ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, পুনঃনির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ২ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর এবং ভোটের দিন ৩০ ডিসেম্বর।