গাইবান্ধার বোনারপাড়া-গোবিন্দগঞ্জ সড়কের ত্রিমোহনী ব্রীজের পশ্চিম পার্শ্বে জেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে কাটাখালী নদীর ভাঙ্গনে বিলিন হওয়ায় ১০টি গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ চলাচলের ভোগান্তিতে পড়েছে। ওই রাস্তায় রিক্সা,ভ্যান তো চলেই না, পায়ে হেঁটে চলাচল করতেও সমস্যা হয় জনসাধারণের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শহর থেকে বিশ পুকুর গ্রামের ব্যাবসায়ী ময়নুল ইসলাম সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় ভ্যান থেকে রাসায়নিক সার নামিয়ে বাইসাইকেল যোগে পরিবহন করছেন। ইতিপূর্বে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাজিরপাড়া, বিশপুকুরসহ কয়েকটি গ্রামে থাকা ক্লিনিক, মাদ্রাসা এবং বহু স্থাপনা কাটাখালি নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে আছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় , একটি বাজার ও বসতবাড়ি।
মাদ্রাসা শিক্ষক লিটন মিয়া জানান, সাঘাটা এলজিইডির ২৮ কোটি টাকার ব্রীজ করে কি হলো, এক কিলোমিটার রাস্তা তো ভাঙ্গাচূড়া।
সেতু নির্মাণ বিষয়ে কথা হলে বোনারপাড়ার ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান বলেন, সেতুটির পশ্চিম পার্শ্বে সংযোগ সড়ক অতি জরুরি। গোবিন্দগঞ্জের মহাসড়কের সাথে সংযোগের ক্ষেত্রে প্রায় ৪৫ কি.মি রাস্তা কমে আসবে।
মানুষ মাত্র ২৫ মিনিটে গোবিন্দগঞ্জে পৌঁছবে বলে জানালেন, আরেক ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান। তাদের মতে ৪৫ কি.মি ঘুরে লোকজনের প্রায় অতিরিক্ত ১ ঘন্টা ব্যয় হয় গোবিন্দগঞ্জে যেতে।
সাঘাটা এলজিইডির ইঞ্জিনিয়ার ছাবিউল ইসলাম বলেন, রাস্তাটি এলজিইডির হলেও পশ্চিম পাশ গোবিন্দগঞ্জে এলাকায়।তাই সেখানকার সড়কের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবোনা।