Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা

রাজীবুল হাসান, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি 
প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ১১:৫৯ AM
আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ১২:১৩ PM

bdmorning Image Preview


কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আল নুর বিদ্যানিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা ও মালিক এলেক্স আপনের বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীকে (১০) ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলেক্স আপনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে শিশুর পিতা বাদী হয়ে ভৈরব থানায় মামলা দায়ের করেন ( মামলা নং ২২ )। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ঘটনার দিন গত সোমবার অভিযুক্ত এলেক্স আপন ওই শিশুকে তার স্কুলের একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে ধর্ষণের চেষ্টা করে।  এসময় শিশুটি চিৎকার শুরু করলে স্কুলের অন্য শিক্ষার্থীরা কক্ষে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এদিকে এই ঘটনায় ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত সাদমিন এর নিকট শিশুর পিতা মঙ্গলবার সকালে একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।

এদিকে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে ঘটনার দিন সোমবার বিকেলেই  ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল করে প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠাতার বিচার দাবি করে।

এবিষয়ে  অভিযুক্ত এলেক্স আপন  ঘটনা  অস্বীকার করে বলেন অভিযোগ সত্য নয়, মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্র বলে তিনি দাবি করেন।  তিনি বলেন, অনেক দিন যাবত দেখছি মেয়েটা একই জামা পড়ে আসছে।এ কথা জিঙ্গাসা করার জন্য ওই শিক্ষার্থীকে অফিস রুমে ডেকে পাঠায়। তাকে বলি একই জামা পড়ে আসো কেন তুমি অন্য জামা পড়ে আসার কথা বলেন তিনি জানান।

তিনি বলেন, এলাকার কিছু লোক সোমবার তার স্কুলটি ভাংচুর করে অনেক ক্ষতি করেছে। ঘটনায় স্কুলটি এখন বন্ধ করা হলে শিক্ষার্থীদের ফাইনাল পরীক্ষার ক্ষতি হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিকেলে ওই কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের চতুর্থ শ্রেনীর শিশু ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে স্কুলে যায়। এসময় স্কুলের শিক্ষক হানিফ মাষ্টার পড়া শেষে তাকে বিদায় দিতে চাইলে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠাতা এলেক্স আপন প্রাইভেট মাষ্টারকে খবর দেয় শিশুর মা তার কক্ষে এসেছে তাই শিশুটিকে তার কক্ষে পাঠাতে। খবর শুনে শিশুটি তার কক্ষে গেলে দরজা বন্ধ করে শিশুটিকে ধর্ষণের চোষ্টা করলে সে চিৎকার শুরু করে। তার চিৎকার শুনে ওই শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা এসময় কক্ষে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে।

এবিষয়ে শিশুটির পিতা আসাদ মিয়া এই প্রতিনিধিকে জানান, এলেক্স আপন আগেই স্কুলে এধরেনের ঘটনা ঘটিয়ে পার হয়ে গেছে। সে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করতে চেয়েছিল কিন্ত তার চিৎকারে শিক্ষার্থীরা কক্ষে এলে ধর্ষণ করতে পারেনি।

ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত সাদমিন জানান, এ ঘটনায় শিশুর পিতা একটি অভিযোগ আমার কাছে দিয়েছে। অভিযোগটি আমি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে তদন্ত করতে দিয়েছি।

ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোখলেছুর রহমান জানান, শিশুটির সাথে আমি কথা বলেছি। শিশুটি ঘটনার বিবরণ দিয়েছে তবে ধর্ষণ করতে পারেনি। এব্যাপারে শিশু ও নারী নির্যাতন আইনের ১০ ধারায় একটি মামলা করেছে শিশুর পিতা। ঘটনা তদন্ত করে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান। 

Bootstrap Image Preview