Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মৌলভীবাজার-১ঃ জয়ের ধারাবাহিকতা রাখতে চায় আ.লীগ, পুনরুদ্ধারে মরিয়া বিএনপি

হৃদয় দেবনাথ, মৌলভীবাজার সদর প্রতিনিধি 
প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ১০:৪২ AM
আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ১০:৪৩ AM

bdmorning Image Preview


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এ মুহূর্তে সম্ভাব্য প্রার্থী ও ভোটাররা অনেকটাই সরব।  বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে এমনটাই চোখে পড়ছে। প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে দুই শিবিরেই চলছে ভোটযুদ্ধের প্রস্তুতি। এই রক্ষা ও পুনরুদ্ধার নিয়ে নির্ধারণও হচ্ছে নানা কৌশল।

নিজ নিজ দলের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মাঠে ব্যস্ত নেতাকর্মীরা। নানাভাবে চেষ্টা করছেন ভোটারদের মন জয়ের। ২০ দলীয় জোট চায় এই আসনটি পুনরুদ্ধার। আর ১৪ দলীয় জোট চায় জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে। তবে, এই আসনটিতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয়পার্টি ছাড়া দুই জোটের অনান্য দলগুলোর সাংগঠনিক তৎপরতা নেই বললেই চলে।

বড়লেখায় ১টি পৌরসভা, ১০টি ইউনিয়ন ও জুড়ী উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মৌলভীবাজার-১ আসন। এ নির্বাচনী এলাকায় রয়েছে ১৬টি চা বাগান, অসংখ্য আগর ও রাবার বাগান, হাকালুকি হাওর, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতসহ নানা পর্যটন স্পট।

২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে এই আসনটিতে চালকের আসনে রয়েছে আওয়ামী লীগ।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটি রক্ষা ও পুনরুদ্ধারের লড়াই বেশ জমে উঠবে এমনটিই আভাস মিলছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ২০০৮ সালের নির্বাচনে হাতছাড়া হওয়া আসনটি পুনরুদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চালাবে। প্রবাসী অধ্যুষিত এ আসনটিতে দলীয় মনোনয়ন পেতে বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা এখন থেকেই নিজ দলের তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত জোর লবিংয়ে ব্যস্ত। ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে প্রার্থীদের এমন নির্বাচনী প্রচারণা।

শহর ও গ্রাম এলাকায় টানানো হচ্ছে ব্যানার ফেস্টুন। বাদ পড়ছে না সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকও। নিজ পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে বিপক্ষে তর্ক বিতর্ক পাশাপাশি জমে উঠেছে আড্ডার স্থল আর লোক সমাগমের স্থানে। আলোচনায় উঠে আসছে বিগত দিনের বিজয়ী প্রার্থীদের উন্নয়ন ও জনপ্রিয়তার বিষয়গুলো। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে এ আসনে জী হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী এবাদুর রহমান চৌধুরী।

১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শাহাবউদ্দিন। ২০০১ সালের নির্বাচনে জয়ী হন বিএনপির এবাদুর রহমান চৌধুরী।

২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হন আওয়ামী লীগের মো. শাহাবউদ্দিন। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও তিনি এমপি নির্বাচিত হন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহাব উদ্দিন এমপি বর্তমানে জাতীয় সংসদের হুইপের দায়িত্ব পালন করছেন। এনিয়ে তিনি তিনবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন এ আসন থেকে।

এই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে রয়েছেন- আওয়ামী লীগের বড়লেখা উপজেলা সভাপতি ও বর্তমান এমপি হুইপ মো. শাহাব উদ্দিন, বড়লেখা উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সুন্দর। বিএনপি থেকে সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট শিল্পপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠু, বড়লেখা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দারাদ আহমদ, কাতার বিএনপি সদস্য সচিব ও যুবদলের সাবেক সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শরীফুল হক সাজু।

জামায়াতে ইসলামী থেকে আমিনুল ইসলাম। জাতীয় পার্টি থেকে রয়েছেন বড়লেখা উপজেলা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আফজল হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য আহমদ রিয়াজ। এছাড়া বাংলাদেশ আলোকিত পার্টির চেয়ারম্যান মুন্সি শরীফুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নির্বাচনী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। জোটবদ্ধ নির্বাচন হলে আসনটি রক্ষা ও পুনরুদ্ধার নিয়ে ভোটের লড়াই বেশ জমে উঠবে বলে ধারণা তৃণমূলের নেতাকর্মী ও ভোটারদের।

মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে বিএনপির সহ-সভাপতি নাসিরউদ্দিন মিঠু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দলের তৃণমূলকে সংগঠিত করতে কাজ করছি। নিয়মিত দলের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। আশা করছি আমার রাজনৈতিক ত্যাগ ও যোগ্যতা বিবেচনা করে দলের হাইকমান্ড আমাকে মনোনয়ন দেবে।

এ বিষয়ে কাতার বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুল হক সাজু বলেন, দেশ ও এলাকার মানুষকে জুলুম নির্যাতন থেকে মুক্ত করতে আমি কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি, দল আমাকে যোগ্য মনে করলে অবশ্যই মনোনয়ন দেবে। মনোনয়ন না পেলে দল যাকে মনোনয়ন দেবে, তার পক্ষে কাজ করবো।

Bootstrap Image Preview