আগামীকাল শুরু হচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন। প্রথম ব্যাচে ৪৮৫ পরিবারের ২ হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে মিয়ানমার। উখিয়া-টেকনাফ ক্যাম্প হতে ১৫ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন ১৫০ জন করে রোহিঙ্গা ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৫ নভেম্বর থেকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরুর দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে। সে অনুযায়ী শুরুতে টেকনাফের কেরুনতলি ঘাটের ট্রানজিট পয়েন্ট প্রস্তুত করা হয়েছে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রত্যাবাসনের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে যে ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে ঠিক অনুরূপ প্রস্তুতি মিয়ানামারের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। সুতরাং নির্ধারিত সময়ে প্রত্যাবাসন শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে ২ হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গার তালিকা জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মংডু কোয়াংচিবন এলাকার বাসিন্দা, জামতলী ক্যাম্পের আশ্রিত রোহিঙ্গা ও প্রত্যাবাসনের প্রথম ধাপে তালিকাভুক্ত হোছন আহাম্মদ (৪২) ও তার স্ত্রী মিনারা বেগম (৩৭) জানান, তারাও অধীর আগ্রহে রয়েছে কখন মিয়ানমারে ফিরবেন- সে আশায়।
এদিকে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাখাইন রাজ্যের পরিবেশ ও পরিস্থিতি সরেজমিন দেখার সুযোগ পাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি বলে জানালেও ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, রোহিঙ্গাদের অনেকে ফিরে যেতে চায়। বাংলাদেশ কাউকে জোর করে পাঠাবে না।
অন্যদিকে আজ মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরে আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি বিবৃতি প্রকাশের কথা রয়েছে। ওই বিবৃতিতে মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে পরিবেশ সৃষ্টির তাগিদ ও তাদের ওপর সহিংসতার নিন্দা জানানো হবে।