Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ মঙ্গলবার, মার্চ ২০২৪ | ৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘আমি চাইনা মাশরাফি বুড়ো বয়সে জেলে যাক’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ১১:১৪ AM
আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ১১:১৮ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার খবরটি তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে মাশরাফির ভক্ত-সমর্থক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে।

গত রবিবার (১১ নভেম্বর)ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে নড়াইল-২ আসনে প্রার্থিতার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা।

তার এই সিদ্ধান্তকে অনেকে সাধুবাদ জানালেও সামাজিক মাধ্যমে তাঁর সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ক্ষোভ, দু:খ বা হতাশা প্রকাশ করার মানুষের সংখ্যাই ছিল বেশি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখক ও কলামিস্ট প্রভাষ আমিন লিখেছেন, আমার ধারণা সাকিবের মত মাশরাফিও নির্বাচন করা থেকে সরে দাড়াবেন। আগাম ধন্যবাদ। ক্রিকেটারদের পুরো মনোযোগ থাকুক খেলায়, বিশেষ করে বিশ্বকাপে।

সুমনের ভাষায়, মাশরাফির মত মানুষের কাছ থেকে ব্যাঙ্ক ডাকাত আর গুমখুনের সর্দারের সাফাই শুনতে হবে এটা ভেবে খারাপ লাগে।

রমজান রাজ নামের একজন লিখেছেন, আমি চাইনা মাশরাফি বুড়ো বয়সে জেলে যাক, আমি চাই না দেশের সবচেয়ে বড় সুপারস্টার, ক্লিন ইমেজের মানুষটির দিকে আংগুল তাক করে কেউ কটু কথা বলুক! দেশের রাজনীতি তোমার মত ব্যক্তির জন্য না ‘বস’। প্লিজ ফিরে এসো ১৬ কোটি মানুষের হৃদয়ে।

'ম্যাশ এর প্রতি আমাদের ভরসা আছে সে দেশকে বদলে দিতে পারে'

তবে বিপুল সংখ্যক মানুষ সমালোচনা করলেও মাশরাফির সিদ্ধান্তের সমর্থন দেয়ার মানুষও কিন্তু কম না।

তোফায়েল নামে একজন মনে করেন, মাশরাফির রাজনীতিতে আসলে দেশ নতুন কিছু দেখতে পারে। ম্যাশ এর প্রতি আমাদের ভরসা আছে সে দেশকে বদলে দিতে পারে।

আরেকজন লিখেছেন, ক্রিকেট ও রাজনীতি দুটো একসাথে কারার নজির বিশ্বে আছে। এটা নিয়ে এতো হতাশ হওয়ার কিছু নেই।

লেখক ও কলামিস্ট আনিস আলমগীরের ভাষায়, একজন খেলোয়াড় তার ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় অন্য পেশায় যেতে চাচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে এমপি হতে পারলে নিজের সুনাম, দেশকে সর্বচ্চ সেবা দেওয়া- দুটোর সুযোগ রয়েছে। এ নিয়ে যারা নাখোশ তারা মাশরাফির কাছে কী চান আল্লাহ জানে!

মো. নাফিস রহামন লিখেছেন, একটা মানুষ রাজনীতি করবে।সংসদ নির্বাচন করবে এটা তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা।

অনেকে আবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে মাশরাফি রাজনীতিতে যোগদান করলে খেলায় তাঁর মনোযোগ ব্যহত হতে পারে।

প্রসঙ্গত, নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করা অধিকাংশ মানুষই মনে করেন, ক্রিকেট থেকে পুরোপুরি ‘অবসর’ নিয়ে রাজনীতিতে যোগ দেয়া উচিত ছিল মাশরাফির। যদিও পেশাদার খেলা চালিয়ে যাওয়া অবস্থাতেই সরাসরি রাজনীতিতে যোগ দেয়ার উদাহরণ বিশ্বের ক্রীড়াবিদদের মধ্যে নতুন নয়।ক্রিকেটারদের মধ্যে শ্রীলঙ্কার সনাথ জয়সুরিয়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর না নিয়েই শ্রীলঙ্কার ২০১০ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন; পরবর্তীতে তিনি ঐ নির্বাচনে বিজয়ীও হন।

Bootstrap Image Preview