আসন্ন জাতীয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়ন নিয়েছেন টাইগার দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। রবিবার আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির কার্যালয় থেকে তিনি এ মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন।
ক্রিকেট মাঠের নামী এ তারকা হঠাৎ করেই রাজনীতির মাঠে জড়ানোকে অনেকেই ভালো চোখে দেখছে না। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে মাশরাফি একজন আইডল। রাজনীতিতে তাদের অনেকই ভিন্ন ভিন্ন মত ও দল আছে। আর এখানেই বিপত্তিটা বাঁধছে। তরুদের অনেকের কাছেই মাশরাফির আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়াকে খাটো চোখে দেখছেল। তবে অনকে আবার মাশরাফির রাজনীতিতে জড়ানোকে সাদুবাদ দিচ্ছেন।
ক্রিকেটারদের রাজনীতির ময়দানে নাম লোখানোর তালিকায় মাশরাফি কিন্তু প্রথম নন। সর্বপ্রথম শ্রীলঙ্কার সানাথ জয়সুরিয়া, খেলোয়াড় জীবনেই রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার উদাহরণ সৃষ্টি করেছিলেন। এছাড়া পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইমরান খান রাজনীতির মাঠে নিজেকে নিয়ে গেছেন সর্বোচ্চ উচ্চতায়। চলতি বছর তিনি পাকিস্তানে প্রধাণমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহন করেছেন। তবে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে মাশরাফিই প্রথম তিনি রাজনীতিতে যোগ দিয়ে দৃষ্টন্ত উপস্থাপন করলেন।
বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে অধিনায়ক মাশরাফি বা অন্য কোন ক্রিকেট খেলোয়াড়ের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে বিসিবির কি কোন বিধিনিষেধ রয়েছে?
এমন প্রশ্নের জবাবে বিসিবির মুখপাত্র জালাল ইউনুস বলেন, "মাশরাফি তার ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে চলে এসেছেন। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পর তিনি খেলা থেকে রিটায়ার করবেন। এটা কোন নিয়ম নাই যে কোন ক্রিকেটার রাজনীতি করলে খেলতে পারবেন না"।
তার মতে, "এটা যার যার সাংবিধানিক অধিকার। উনি যদি মনে করেন যে, রাজনীতির পাশাপাশি তিনি খেলাতেও পারফর্ম করতে পারবেন, তাহলে আমাদের কোন নিয়ম নাই যে আমরা তাদেরকে কোন বাঁধা দিতে পারবো। তাছাড়া মাশরাফিকে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য এক মাস দেড় মাস ব্যস্ত থাকবেন। বাকিটা তিনি ম্যানেজ করে নেবেন।"