বিগত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি। এরপর থেকেই নির্বাচন বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে অন্য পক্ষগুলোর দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এ প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি-গণফোরামসহ কয়েকটি দলের সমন্বয়ে গঠিত হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
এরপর নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সম্প্রতি একাধিকবার সংলাপ-আলোচনা করে ঐক্যফ্রন্ট। এরপর থেকে শোনা যায়, জোটটি ভোটে যাচ্ছে।
রবিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় ঐক্যফ্রন্ট। অপরদিকে ভোটে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত জানায় বিএনপির নেতৃত্বে থাকা আরেক জোট ২০ দলও।
এদিকে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ সব দলের অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার বিকেলে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সংসদীয় বোর্ডের সভার শুরুতে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশের সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিলে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ গণতন্ত্র উদ্ধার করতে গিয়ে আমাদের অনেক নেতাকর্মী জীবন দিয়েছেন।
নির্বাচনে ৩০০ আসনে আওয়ামী লীগের উপযুক্ত মনোনয়ন প্রত্যাশীকেই প্রার্থিতা দেয়া হবে বলে জানান দলীয় সভাপতি।
প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর)। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩ ডিসেম্বর (রোববার)। এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৯ নভেম্বর (সোমবার)। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ২২ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার)। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৯ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার)।
এবারের সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ১০ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ৪৮০, যা গত ৩১ জানুয়ারি হালনাগাদ করা ভোটারের থেকে ৪৮ হাজার ৯৯ জন বেশি। ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ অক্টোবর- এই সময়ের মধ্যে নতুন ভোটার হয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার।