দলের প্রয়োজনে ফের জ্বলে উঠল মোমিনুল হকের ব্যাট।মিরপুর টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের সপ্তম অর্ধশতকের দেখা পেলেন।সবশেষ আট টেস্ট ইনিংসে কোনা হাফ সেঞ্চুরি না থাকার হতাশা কাটিয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক এখন তিনি।
বেশ কিছু দিন জাতীয় দলের জার্সিতে রানের দেখা পাচ্ছিলেন না তিনি। সবশেষ টেস্টে সিরিজে ক্যারিবিয়ানদের ঘরের মাঠে রান খড়ায় ভুগেছিলন তিনি। এরপর এশিয়া কাপে দুটি ওয়ানডে ম্যাচেও দুই অঙ্ক স্পর্শ করেত পারেনি তিনি।
এমনকি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্টের দুই ইনিংসে মাত্র ১১ ও ৯ রানে আসে তার ব্যাট থেকে। তবে মিরপুরে সিরিজ বাাঁচানোর মিশনে আবারো ভরসার প্রতিদান দিনের তিনি। দলীয় ১৩ রানের মাথায় প্রথম উিইকেটে পতনের পর ক্রিজে আসেন তিনি। এরপর তার চোখের সামনে আরো দুই ব্যাটম্যানটা দ্রুত বিদায় নিয়েছেন প্যাভিলনে। কিন্তু ধৈয্য হারাননি তিনি।
মুশফিককে সাথী করে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি। তার অর্ধশতকটা আঝে ৯২ বল থেকে। এরপর পরের ৫০ রান তুলতে খরচ করেন ৫৮ বল। সেঞ্চুরি খেলার পথে তিনি ১২টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন তিনি। তার সেঞ্চুরি দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ দল পূর্ণ করেছে সেঞ্চুরির হাফ সেঞ্চুরি, মানে ৫০তম সেঞ্চুরি।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৮টি সেঞ্চুরি তামিম ইকবালের। মুমিনুলের ৭টি। ৬টি সেঞ্চুরি আশরাফুলের। ৫টি করে সাকিব আল হাসান মুশফিকুর রহিমের। ৩টি করে ইমরুল কায়েস ও হাবিবুল বাশারের।
১টি করে সেঞ্চুরি রয়েছে ১৩ ক্রিকেটারের- আমিনুল ইসলাম বুলবুল, শাহরিয়ার নাফিস, জাভেদ ওমর, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নাফিস ইকবাল, আবুল হাসান, মোহাম্মদ রফিক, নাঈম ইসলাম, জুনায়েদ সিদ্দীক, শামসুর রহমান, খালেদ মাসুদ পাইলট, সোহাগ গাজী ও নাসির হোসেন।