আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন শরীয়তপুর- ৩ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী, কেন্দ্রীয় ইয়াং বাংলার আহবায়ক নাহিম রাজ্জাক এমপি।
শুক্রবার (৯ নভেম্বর) বিকালে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বিক্রির প্রথম দিনে নেতাকর্মীদের বিশালবহর নিয়ে সভাপতির ধানমন্ডিস্থ কার্যালয় হতে মনোনয়ন সংগ্রহ করেন তিনি।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা নাহিম রাজ্জাক বলেন, আমার সর্বোচ্চ দিয়ে আসনটি জুড়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গঠনে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করছি। আমার পিতা প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাকে অসম্পন্ন কাজ সম্পন্ন করেছি। বাবার মতোই নেতাকর্মীরা সবসময় আমার পাশেই আছে, আমিও তাদের সর্বোচ্চ মর্যাদা দিতে চেষ্টা করেছি। আশা করি নেত্রী কাজ এবং দলীয় নেতাকর্মী এবং জনমত বিবেচনায় আমাকে মনোনয়ন দিবেন।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে থেকে বনানীতে প্রয়াত নেতা আব্দুর রাজ্জাকের কবরে নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানান নাহিম রাজ্জাক। এরপর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে অভিমুখে তার কর্মী ও সমর্থকরা আসতে শুরু করে। পরে বিকাল ৫ টায় সহস্রাধিক নেতাকর্মীর বিশাল আনন্দ মিছিল সহকারে সভাপতির কার্যালয়ে আসেন এ মনোনয়নপ্রত্যাশী। পরে কার্যালয়ের নির্দিষ্ট সেল হতে তার মনোনয়ন ফরমটি সংগ্রহ করেন। এরপর বেরিয়ে এলে নেতাকর্মীরা উৎসবে মেতে ওঠে।
২০১১ সালে শরীয়তপুর-৩ আসনের সাংসদ বর্ষীয়ান আ.লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যুর পর উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হন তার কনিষ্ঠপুত্র নাহিম রাজ্জাক। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলে আবারো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হন নাহিম রাজ্জাক। পিতা আব্দুর রাজ্জাকের বদৌলতে এমপি হলেও নিজের মেধা আর উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে শক্ত অবস্থান গড়তে সক্ষমতা দেখিয়েছেন সাংসদ নাহিম রাজ্জাক।
এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন নির্বাচনি এলাকায়। রাস্তাঘাট, স্কুল কলেজ, বিদ্যুতায়ন, হাসপাতাল নির্মাণসহ ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। দলীয় নেতাকর্মীরাও একাট্টা হয়ে তার সঙ্গে কাজ করেছেন। আ.লীগকে সংগঠিত করার পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকাজুড়ে রেখেছেন উন্নয়নের ছাপ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা ও পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে পরিচালিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরআইয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং বৃহৎ যুব প্ল্যাটফর্ম ইয়াং বাংলার কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন দেশজুড়ে।