Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বানিয়াচংয়ে এসএসসি’র ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ

আজিজুল ইসলাম সজীব, হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০১৮, ১২:৩৩ PM
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৮, ১২:৩৪ PM

bdmorning Image Preview


শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অমান্য করে বানিয়াচংয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বেশিরভাগ মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। চলতি বছর ১৪ অক্টোবর সিলেট শিক্ষা বোর্ডের এক নির্দেশনায় অতিরিক্ত ফি আদান না করার জন্য বলা হলেও সে নির্দেশনা মানছে না বেশির ভাগ মাধ্যমিক স্কুল।

এবার এসএসসির ফরম পূরণের জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫ শ ৬৫ টাকা নির্ধারণ করেছে শিক্ষাবোর্ডগুলো যা সরকারি নির্দেশনাও রয়েছে। এভাবে প্রতিবছরই কম ফি ধার্য করে। কিন্তু বাস্তব চিত্র তার উল্টো। বানিয়াচংয়ের স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের থেকে বিভিন্ন অযুহাতে দ্বিগুন টাকা আদায় করছে স্কুলগুলো। কোন কোন স্কুল কর্তৃপক্ষ নোটিশ দিয়ে আবার কোথায়ও নোটিশ ছাড়াই। এ বছরই যে বাড়তি ফি আদায় করছে তা কিন্তু নয়। বছরের পর বছর একই চিত্র লক্ষ্য করা যায়। অনিয়ম হলেও বিষয়টি এখন স্বাভাবিক ভাবেই দেখছে স্কুলগুলো।

অভিভাবকরা বলেছেন, অবস্থাটা এমন যে, নানা ফন্দি, নানা কৌশলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যত বেশি আদায় করা যায় ততই তাদের কাছে সাধারণ ব্যাপার মনে হয়। এই সুযোগে স্কুল কর্তৃপক্ষের পকেট ভারি হচ্ছে অনৈতিক অর্থে। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি অনুযায়ী অসহায় অভিভাবকরা সন্তানের ফরম পূরণ করিয়েছেন। কষ্ট হলেও অর্থের দিকে তাকাননি। আবজল নামে এক অভিভাবক জানান, ধার কর্য করে সন্তানের ফরম পূরণ করিয়েছি।

২০১৮ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ফরম পূরণের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী প্রতি সর্বোচ্চ বিজ্ঞান বিভাগে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৫ শ ৬৫টাকা। তবে ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি যোগ হলে এই হিসেব আরেকটু বেশি। মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষায় ১ হাজার ৪ শ ৪৫ টাকা নির্ধারণ করেছে বোর্ডগুলো।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুধুমাত্র সরকারি স্কুলগুলোতে বোর্ডের চেয়ে কিছুটা বেশি নিচ্ছে। বেসরকারিতে সেশন ফি, সেন্টার ফি, কোচিং ফি ও অগ্রিম মাসের বেতনসহ সব মিলিয়ে বোর্ডের ফি'র চেয়ে দ্বিগুন নিচ্ছে স্কুলগুলো। উপজেলার বেশ কয়েকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের সাথে আলাপকালে এ তথ্য জানা যায়।

একাধিক অভিভাবক এ বিষয়ে বলেন,আমরা আগামী ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বেতনাদি পরিশোধ করেছি। জানুয়ারি থেকে ক্লাস, কোচিং ও স্কুলের মডেল টেস্ট বন্ধ থাকবে।

অথচ আমাদের কাছ থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত স্কুলের বেতন আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া আদায় করা হয়েছে অতিরিক্ত ক্লাস ও মডেল টেস্টের টাকাও। এর প্রতিবাদও করা যায় না। বাড়তি ফি'র বিষয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানালেও কোনো লাভ হয় নি।

বাড়তি ফি নেওয়ার বিষয়ে বানিয়াচং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কাওছার শোকরানা বলেন, শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত ফি'র বাইরে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। কোনো স্কুল অতিরিক্তি টাকা আদায় করলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Bootstrap Image Preview