Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

সংসদ নির্বাচন; মোতায়েন থাকবে ৬ লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:০১ PM
আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:০১ PM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় প্রায় সাত লাখ কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

তিনি বলেন, প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হবে। সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ছয় লক্ষাধিক সদস্য মোতায়েন করা হবে। এর মধ্যে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন। এ নিয়ে প্রাথমিক প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে নির্বাচনের দিন ঘোষণার সময় এই তথ্য জানান তিনি।

সিইসির এই ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

সিইসির ভাষণ রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচার করা হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার জন্য আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। একই সঙ্গে নির্বাচনের প্রস্তুতির ওপর কিছুটা আলোকপাত করব। নির্বাচন পরিচালনায় সব নাগরিকের সহযোগিতার আহ্বান জানাচ্ছি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে তিনি বলেন, যেসব বীর সন্তান স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছেন, পঙ্গুত্ববরণ করেছেন, সম্ভ্রম বিসর্জন দিয়েছেন তাদের স্মরণ করছি। স্মরণ করছি ’৫২র ভাষা শহীদদের যাদের রক্তের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মায়ের ভাষা; অর্জিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

কে এম নুরুল হুদা বলেন, আন্দোলন, আত্মদান আর সংগ্রামের ফসল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। ভাষা আন্দোলনে আত্মদানের প্রত্যয় নিয়ে স্বাধিকার আন্দোলন। স্বাধিকার আন্দোলনের প্রেরণায় মুক্তি সংগ্রাম। মুক্তিযুদ্ধের শ্রেষ্ঠ অর্জন লাল-সবুজ পতাকার এক খণ্ড বাংলাদেশ। চরম ক্ষুধা-দারিদ্র্য, অবণতকর আর্থ-সামাজিক অবস্থান এবং যুদ্ধ বিধ্বস্ত ভৌত অবকাঠামো নিয়ে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্ম। নবীন সে দেশটি আজ উন্নত বিশ্ব অভিমুখ অভিযানে দীপ্তপদে এগিয়ে চলছে।

তিনি বলেন, উন্নয়নের আর একটি আরোধ্য সোপান গণতন্ত্রের মজবুত ভিত্তি। সামাজিক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির স্থিতিশীল ও দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য অর্জনে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রকে সমান্তরাল পথ ধরে অগ্রসর হতে হবে। গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় নির্বাচন একটি নির্ভরশীল বাহন। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন তা এগিয়ে নিয়ে যেতে জনগণের কাছে হাজির হয়েছে। জনগণের হয়ে সব রাজনৈতিক দলকে সে নির্বাচনে অংশ নিয়ে দেশের গণতন্ত্রের ধারা এবং উন্নয়নের গতিকে সচল রাখার আহ্বান জানায়।

‘দেশব্যাপী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনুকূল আবহ সৃষ্টি হয়েছে’ দাবি করে সিইসি বলেন, ‘সংসদ নির্বাচন ঘিরে সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত আগ্রহের জাগরণ ঘটে। তাদের বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনা আর উচ্ছ্বাসে গোটা দেশ উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। রাজনীতিবিদদের কৌশল প্রণয়ন, প্রার্থীদের নির্ঘুম প্রচারণা, সমর্থকদের জনসংযোগ, ভোটারদের হিসাব-নিকেশ, হাট-বাজারে মিছিল-স্লোগান, প্রশাসনে রদ-বদল এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক প্রস্তুতির ঘটনা ঘটে। ভোটের দিনে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার মধ্যে আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে।’

তিনি বলেন, ২০১৮ সাল সেই নির্বাচনের একটি বছর। নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে। সুশীল সমাজ মতামত প্রকাশ অব্যাহত রেখেছে।

সিইসি বলেন, জাতির এমন উচ্ছ্বসিত প্রস্তুতির মধ্যখানে দাঁড়িয়ে আমি প্রত্যাশা করবো, অনুরোধ করবো এবং দাবি করবো, প্রার্থী এবং তার সমর্থক নির্বাচনী আইন ও আচরণবিধি মেনে চলবেন। প্রত্যেক ভোটার অবাধে এবং স্বাধীন বিবেকে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন।

তিনি বলেন, ভোটার, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, প্রার্থীর সমর্থক ও এজেন্ট যেন বিনা কারণে হয়রানির শিকার না হন বা মামলা-মোকদ্দমার সম্মুখীন না হন, তার নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর কঠোর নির্দেশ থাকবে। দল ও মত নির্বিশেষে সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, ধর্ম, জাত, বর্ণ, নারী ও পুরুষভেদে সবাই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। ভোট শেষে নিজ নিজ বাসস্থানে নিরাপদে বসবাস করতে পারবেন।

Bootstrap Image Preview