Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

গাইবান্ধায় ৪ লেন সড়ক উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ নভেম্বর ২০১৮, ০৭:৫২ PM
আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৮, ০৭:৫২ PM

bdmorning Image Preview


ফরহাদ আকন্দ, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধা শহরের ভিতর দিয়ে প্রায় ২৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২.৫ কিলোমিটার ডিবি রোডকে চারলেনে উন্নীতকরণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি।

বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে জেলা শহরের ১নং রেলগেট এলাকায় চারলেনে উন্নীতকরণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক সেবাষ্টিন রেমা, সড়ক ও জনপথ অধিদফতর গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, পৌর মেয়র অ্যাড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন, মৃদুল মোস্তাফিজ ঝন্টু, রেজাউল করিম রেজা, শাহীদ হাসান লোটন, সাঈদ হোসেন জসিম, সুজন প্রসাদ, আসিফ সরকার, আরিফুল ইসলাম, ওয়াজেদ হাসান, গাইবান্ধা জেলা কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি আব্দুল করিম প্রমুখ।

সওজ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা শহরকে যানজটমুক্ত ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়নের লক্ষ্যে এক সময় গাইবান্ধা বাইপাস সড়ক নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। ওই প্রকল্পে কিছু টাকা বরাদ্দ হলে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করা হয়। পরে অজ্ঞাত কারণে ওই প্রকল্পের ফাইল ধামাচাপা পড়ে যায়।

পরবর্তীতে গাইবান্ধার বালাসী ও জামালপুরের বাহাদুরাবাদ ঘাটের মধ্যে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিএ) এর মাধ্যমে নৌ-ফেরি (যানবাহন পারাপার) চলাচলের ঘোষণা দেওয়া হলে গাইবান্ধা শহরের ভিতর দিয়ে ডিবি রোডকে চারলেনে উন্নীতকরণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়।

প্রকল্পটি একনেকে পাশও করা হয়। এ জন্য প্রাথমিকভাবে এক কিলোমিটার চারলেন সড়কের ব্যয় (জমি অধিগ্রহণ ও সড়ক এবং ড্রেন নির্মাণ) ধরা হয় ৪৯ কোটি টাকা। প্রাথমিক বরাদ্দ পাওয়া যায় ১১০ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে এই চারলেন সড়ক চাহিদা অনুযায়ী এক কিলোমিটারের স্থলে বেড়ে ২.৫ কিলোমিটারে দাড়ায়। এতে ব্যয় হবে প্রায় ২৮০ কোটি টাকা হবে। এর মধ্যে সড়ক এবং ড্রেন নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ১৭ কোটি টাকা। জমি অধিগ্রহন ও ক্ষতি পুরণে ব্যয় হবে প্রায় ২৬৩ কোটি টাকা।

উদ্বোধনের সময় হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি বলেন, পলাশবাড়ী উপজেলা থেকে গাইবান্ধা পর্যন্ত ২১ কি.মি আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন এবং আগামী বছরের জুনের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সড়ক ও জনপথ অধিদফতর গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প (রংপুর জোন) এর আওতায় এই চারলেন সড়কের কাজ করা হচ্ছে। এই সড়ক নির্মাণ সম্পন্ন হলে গাইবান্ধা শহরের যানজট কমে যাবে। সেইসাথে বালাসীঘাট থেকে ফেরী চলাচল শুরু হলে রংপুর বিভাগের আট জেলার সাথে ময়মনসিংহ, ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ  দক্ষিনাঞ্চণের দুরত্ব অনেক কমে যাবে। এর ফলে বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর চাপও কমে যাবে।

Bootstrap Image Preview