Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নকলের সুযোগ নিতে ঘুষ দেয়ার সময় ৩ শিক্ষক আটক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:২৭ PM
আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:২৭ PM

bdmorning Image Preview


সৈয়দ রোকনুজ্জামান রোকন, নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ

পরীক্ষা কেন্দ্র অবাধে নকল চালানোর জন্য ব্যবস্থা করতে চেয়েছিলেন তারা। এ জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পরীক্ষাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করতে চেয়েছিলেন, দিতে চেয়েছিলেন ঘুষ।

এমন অভিযোগ উঠেছে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের তিন মাদরাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে। ওই তিন শিক্ষককে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে বুধবার (৭ নভেম্বর) পুলিশে দেওয়া হয়েছে।

আটকৃত শিক্ষকেরা- জেডিসি পরীক্ষার কেন্দ্রসচিব শিবপুর মাদ্রাসা সুপার মাওলানা নুরুল ইসলাম, নবাবগঞ্জ বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সহ-সুপার মাওলানা আবদুল্লাহ ও ইটাখুর বড় বাড়িয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা রিয়াজুল ইসলাম।

নবাবগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ পরীক্ষাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইনস্ট্রাক্টর শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, জুনিয়র দাখিল পরীক্ষায় (জেডিসি) নকলের সুযোগ নিতে মাদ্রাসার ওই তিন শিক্ষক আজ ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা চালান।

তার তথ্যমতে, দুপুর ১২টার দিকে শফিকুল ইসলামের কক্ষে গিয়ে তাঁরা এই ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করতে তিন শিক্ষককে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।

শফিকুল ইসলাম বলেন, নবাবগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে জেডিসি পরীক্ষার কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, জেডিসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে আটক করা ওই তিন শিক্ষকের সহযোগিতায় নকলের চেষ্টা চলছিল। কিন্তু ইউএনও মো.
মশিউর রহমানের তৎপরতায় কেন্দ্রে নকল বন্ধ থাকে।

৩ নভেম্বর আরবি পরীক্ষার দিন ওই তিন শিক্ষকের সহযোগিতায় প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে অন্য শিক্ষকেরা উত্তরপত্র তৈরি করার সময় তিনি হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এ ঘটনায় পরীক্ষা থেকে পাঁচ শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

শফিকুল ইসলামের বলেন, এ ঘটনার পর হতে ওই দিন সন্ধ্যা থেকে তিন শিক্ষক ইউএনও এবং তাকে ম্যানেজ করতে উঠেপড়ে লেগেছিলেন। নবাবগঞ্জ বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সহ-সুপার মাওলানা আবদুল্লাহ তাকে ২০ হাজার টাকা ঘুষের প্রস্তাব দিলে তিনি বিষয়টি ইউএনওকে জানান।

তিনি আরও বলেন, আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে আবদুল্লাহ তাঁকে ঘুষ দেওয়ার জন্য এলে তাঁর মাধ্যমে খবর পেয়ে ইউএনও পুলিশ ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পারুল বেগমকে নিয়ে ঘুষের টাকাসহ আবদুল্লাহকে আটক করেন।

পরে আবদুল্লাহর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নুরুল ইসলাম ও রিয়াজুলকে আটক করা হয়। তাঁরা তিনজনই ঘুষ দেওয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান, এ ঘটনায় ইনস্ট্রাক্টর বাদী হয়ে তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

ইউএনও মশিউর রহমান বলেন, শিক্ষকদের নকলে সহায়তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। পরীক্ষার শুরুতেই তিনি এ বিষয়ে কঠোরভাবে হুঁশিয়ার করেছিলেন। এরপরও ওই তিন শিক্ষক পরীক্ষায় নকল চালানোর চেষ্টা করতে থাকেন।

Bootstrap Image Preview