Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

গাইবান্ধা-৩: মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ, সক্রিয় নেতারা চালাচ্ছে শোডাউন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ নভেম্বর ২০১৮, ০৬:৩৪ PM
আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৮, ০৬:৩৪ PM

bdmorning Image Preview


ফরহাদ আকন্দ, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গাইবান্ধ-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীগণ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশায় দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন কেন্দ্রে। মাঠ ফাঁকায় গোল দিচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থী বিএনপির ডাঃ মইনুল হাসান সাদিক। কেন্দ্রর হাই কমান্ডের নির্দেশে পেয়ে মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন এবং মাঠ এখন পযর্ন্ত আঁকড়ে ধরে রেখেছেন।

প্রত্যেকেই দলের প্রার্থী ও নিজের অবস্থান জানাচ্ছেন বিভিন্ন পদের ব্যানার পোস্টার-ফেস্টুনে। কেউ হাল ছাড়ছেন না। দল হতে মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে চলছে জোড়লো যোগাযোগ। সেইসাথে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে সক্রিয় সম্ভাব্য মনোনয়োন প্রত্যাশী নেতারা শোডাউন ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন ফোনে ও চায়ের দোকানে।

এ ছাড়াও একাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যানার ফেস্টুনের নেতারা ঢাকায় দৌড়-ঝাঁপ করছেন। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী বর্তমান এমপি,সংরক্ষিত আসনের মহিলা এমপি, অালহাজ্ব শাহারিয়া খাঁন বিপ্লব,আবু বকর প্রধান, তোফাজ্জল হোসেন সরকার, মোখছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ, এসব প্রার্থী ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় গনসংযোগ তো দুরের কথা কোন তৃনমূল জনগণ ও নেতাকর্মীকেই চেনেন না অনেক ব্যানার ফেস্টুনের প্রার্থীরা, তারা আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে চান।

বিএনপির ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের মুখে মুখে আলোচনা ছাড়া তেমন কোনো তৎপরতা নেই। তবে কয়েকদিন মাঠ চষে বেড়ান বিএনপির ডাঃ সাদিক ও জাতীয় পাটির ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার শিল্পি, তাও অাবার এখনও প্রকাশ্যে মাঠে নামেননি বলে জানা যায়। তবে নির্বাচনের জন্য নীরব প্রস্তুতি চলছে সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী আসনে।

ইতোমধ্যে সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- আওয়ামী লীগের সাদুল্যাপুর উপজেলা সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকার, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেত্রী সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ উম্মে কুলসুম স্মৃতি, সাদুল্যাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অালহাজ্ব শাহারিয়ার খান বিপ্লব, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এমএওয়াহেদ মিয়া, বর্তমান কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) মাহমুদুল হক, পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বকর প্রধান, সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেন সরকার, ডাঃ শাহ মোঃ ইয়াকুবুল আজাদ, আজিজার রহমান বিএসসি।

এ ছাড়াও জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সাদুল্যাপুর উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে- গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মইনুল হাসান সাদিক, পলাশবাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহ আলম সরকার (টুপি আলম), সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ ও সাবেক ছাত্রনেতা ড. মিজানুর রহমান মাসুম। এ ছাড়া জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম রফিকও দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশায় কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে লবিং অব্যাহত রেখেছেন।

জাতীয় পার্টি থেকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রী প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার শিল্পী ও জেলা জাতীয় পার্টির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মনজুরুল হক সাচ্ছা, এরশাদ সমর্থক পরিষদের এ্যাডঃ মমোতাজ উদ্দিন। এদিকে ২০ দলীয় জোটের শরিক দল (জেপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ছয়বারের সাবেক এমপি ডাঃ টিআইএম ফজলে রাব্বী এ নির্বাচনে অংশ নিবেদন বলে জানা গেছে।

বাতাস বইতে শুরু হলেও নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে অাসলেও নির্বাচনী কোন অামেজ নেই এই আসনে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা জনগণের সামনে আসার সুযোগ পাচ্ছে না খরচ হওয়ার ভয়েই। প্রার্থীর উপর জনগণের ধারনা- টাকা দিয়ে কেন্দ্রে লবিং করে কোন রকমে টিকেট পেলে জনগণ ভোট এমনিতেই দেবে কোন পরিচিতি লাগবে না, সেইদিন আর নেই।

উপজেলা শহরের অনেকেই ও দলীয় কিছু সমর্থক মন্তব্য করেন- যারা মনোনয়োন প্রত্যাশী, তারা মনোনয়োন না পেলে হয়তো দলের সার্থে কয়েক দিন নির্বাচনের মাঠে কাজ করার পরে খুঁজে পাওয়া যাবে না তাদের। তাই আমরা চাই যোগ্যতাসম্পন্ন তৃনমূলের দলীয় কান্ডারীকেই এবার মনোনয়োন দেওয়া হোক।

নির্বাচন সামনে রেখে এলাকাবাসীর মুখে আলোচনায় এসেছেন তরুণ নেতা। এ আসনে প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় সাদুল্যাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারিয়া খাঁন। বিপ্লবের নাম অনেকেই বলছেন- পরপর দু'বার উপজেলা পরিষদের ভোটে হারলেও তার উপর জামায়াত-শিবিরের অস্ত্রধারী ক্যাডাররা পৈশাবিক হামলা চালিয়ে গুরুত্বর আহত করে, তারপরও হাল ছাড়েননি। দলকে টিকে রাখতে একমাত্র শাহারিয়া খাঁন বিপ্লবই তৃনমূল নেতাকর্মীকে চেনেন জানেন। পাশে থাকেন।

নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা বিভিন্ন উপলক্ষ ও দিবসকে কেন্দ্র করে শুভেচ্ছা বিনিময়, পোস্টার, ব্যানার ফেস্টুনের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান ও প্রার্থীতার বিষয়টির আবাস দিচ্ছে।

গাইবান্ধা-৩ আসনে ছয়বারের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির ড. টিআইএম ফজলে রাব্বীকে হটিয়ে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের মুখ দেখেন আওয়ামী লীগ। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. ইউনুস আলী সরকারের এবারও নৌকায় ওঠার সম্ভাবনা কতটুকু বেশি তা নিশ্চত করে বলার অবকাশ নেই। ডাঃ মোঃ ইউনুস আলী সরকার এমপি ছাত্র জীবনেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি এই নির্বাচনী আসনে অাবারো মনোনয়ন পেতে সাদুল্লাপুরে বিভিন্ন উন্নয়ন করছেন।

পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুরের উন্নয়নের এমপি ডা. মোঃ ইউনুস আলী সরকার। তার হাত ধরে গাইবান্ধা-৩ পলাশবাড়ী সাদুল্লাপুরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। দুটি উপজেলার মানুষ তার এ উন্নয়ণে খুশি। এ উপজেলা দুটির ২০টি ইউনিয়নের মানুষ তার এ দৃশ্যমান উন্নয়ণ দেখে অভিভূত। যে কারণে উপজেলা দু’টির সাধারণ মানুষের দাবি ডা. মোঃ ইউনুস আলি সরকারকে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় মনোনয়ন প্রদান করা হোক। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এ আসনে ইউনুস আলি সরকারের বিকল্প নেই।

তবে গত ৪ নভেম্বর ১৮ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ জাকারিয়া খন্দকার জানান হয়, তৃনমূল সভায় এমপি ডা. ইউনুস আলী সরকার উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে সভায় উপস্থিত না হয়ে নেতাকর্মীদের অবজ্ঞা ও অবমাননা করে রবিবার সকালে ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে নির্বাচনী গণসংযোগে যান। এতে সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীরা ইউনুস আলী সরকারকে অবাঞ্চিত দাবি জানান। সভার সভাপতি প্রস্তাবটি সবাই সমর্থন দেন। উপস্থিত নের্তৃবৃন্দ করতালীর মাধ্যমে প্রস্তাবটিতে অনুমোদন দেন।

পরে সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী অাসনের মাননীয় সংসদ সদস্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে তৃনমূল নেতাকর্মীর অনুরোধসূচক এ আসনে সাংসদের পুনরায় মনোনয়ন নিশ্চিত না করার আবেদন তৃনমূল সাধারন ভোটারদের। তবে তৃনমূল প্রতিনিধি সভায় ১০০ জন নেতাকর্মী ছাড়া বাকিরা সবাই শোডাউনে এমপিকে নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। অবাঞ্চিত ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরে এমপি সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অফিসের অায়োজনে বিনামূল্য সার বীজ বিতরণ করেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ঘুনিয়ে অাছে। এরই মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার কাজ অনেকটাই গুছিয়ে এনেছে। একাধিক সংস্থার মাধ্যমে জরিপ এবং গোয়েন্দা প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্রে বেশ কয়েকজন সংসদ সংসদের মনোনয়ন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। যারা নানা বিতর্কে জড়িয়ে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন অথবা দায়িত্ব পালনে অপরিপক্বতার পরিচয় দিয়েছেন, তাদের কপাল পুড়বে এবার।

আওয়ামী লীগ এককভাবে নির্বাচন করলে এক ধরনের প্রার্থী তালিকা, ১৪ দলীয় জোটগতভাবে নির্বাচন করলে এক ধরনের তালিকা আবার মহাজোট গতভাবে নির্বাচনে অংশ নিলে আরেক ধরনের প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। ১৪ দল বা মহাজোটগত নির্বাচন হলে কত আসন ছাড় দেয়া হবে সে ব্যাপারেও টিমওয়ার্ক করছে আওয়ামী লীগ।

রাজনীতিতে সক্রিয় নয় এমন সাবেক আমলা, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকতা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তারা এ নিয়ে নীরবে কাজ করছেন। এ পর্যন্ত ১৫১ আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করে তাদের সবুজ সংকেত দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। অনেক আসনে বিবেচনায় রয়েছে একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম। সবকটি জরিপ ও গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট নিয়ে ‘হোমওয়ার্ক’ করছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যা সাবেক জাতীয় পাটির এমপি উন্নয়ন না করলেও কিছু নেতাকর্মী নিজের সম্পদের অাখের গুছিয়ে নিয়েছেন।

অাবার অনেক নেতাকর্মী ভাবছেন উল্টোটা যদি বিএনপি নির্বাচন করে অা'লীগের সাথে জাতীয় পাটির জোট হয় তাহলে এ অাসনটি ছাড়ার সম্ভবনা বেশি। ওদিকে ২০ দলীয় জোট যদি আবার একত্রিত হয়ে নির্বাচনে যায় তাহলে নিষিদ্ধ জামাতের প্রার্থী বাদে শরিক দলের (জেপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ৬ বারের সাবেক এমপি ডঃ টি আই এম ফজলে রাব্বির কাছে হার মানতে হচ্ছে বিএনপির জেলা সভাপতি ডাঃ মইনুল হাসান সাদিককে।

তবে গুজবে শোনা যাচ্ছে- দলের হাইকমান্ড ফেরারি সাজাপ্রাপ্ত অাসামি তারেক জিয়া তাকে মনোনয়োনে অাশ্বাসে অাশান্বিত করেছেন তাই দলের নেতাকর্মীর কাছে মিষ্টমুখ করে নিশ্চিত হয়েছেন এবং স্বপ্নেও দেখেছেন এমপির। এর ফাকে হাল ধরে অাশায় অাশান্বিত একাধারে ভিপি, ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান তরুন সমাজ কর্মী এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের ৫ বছর পূর্ণ করতে পা দিয়েছে। আগের বছরের ধারাবাহিকতায় উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। উন্নয়নের ধারায় দেশ এগিয়ে গেলেও এ সময়ে দেশ পরিচালনায় সরকারকে অনেকটাই বেগ পেতে হয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়েছেন দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী।

Bootstrap Image Preview