Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নির্মিত হচ্ছে দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রা, বাড়বে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি

জাহিদ রিপন, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ০৭ নভেম্বর ২০১৮, ০৪:৫১ PM
আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৮, ০৫:১৯ PM

bdmorning Image Preview


অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে সংগতি রেখে দেশের সমুদ্রবন্দর কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নে রাবনাবাদ চ্যানেলের তীরে নির্মিত হচ্ছে দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রা। বিদ্যমান দু'টি বন্দরের পাশাপাশি তৃতীয় একটি বন্দর নির্মাণ করে বিশেষ একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে নেওয়া হয়েছে দীর্ঘমেয়াদী ও চতুর্মুখী পরিকল্পনা।

১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের মহাপরিকল্পনা নিয়ে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর সংসদে পাস হয় পায়রা বন্দর অধ্যাদেশ-২০১৩। একই বছর ১৯ নভেম্বর বন্দরের ভিত্তি ফলক উন্মোচন করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 
পায়রা বন্দরই হবে জাতীয় অগ্রগতির চালিকাশক্তি এমন অর্থনৈতিক মহাপরিকল্পনা তৈরি করতে দেওয়া হয়েছে ব্রিটেন ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা এইচআর ওয়েলিংফোর্ডকে। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাথে চুক্তি হয় সংস্থাটির। সমীক্ষার মাধ্যমে পরিবেশ ও অর্থনৈতিক সম্ভাব্যতা যাচাইপূর্বক মূল বন্দরের কাজ, নদী শাসন, চ্যানেল ডিজাইন, জাহাজের নাব্যতা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ড্রেজিংয়ের কাজ এগিয়ে চলছে দ্রুত গতিতে। তিন পর্বে এই নির্মাণ পরিকল্পনায়, প্রথম পর্বের ১৯ ধাপের প্রথম পর্যায় খরচ হয়েছে এক হাজার ১২৮ কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় পর্যটন শিল্প বিকাশে বিশেষ অঞ্চল নির্মাণ, উপকূলীয় অঞ্চলে সবুজ বেষ্টনীসহ বন্যপ্রাণীর জন্য অভয়ারণ্য গড়ে তোলা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। থাকবে কয়লা টার্মিনাল। গড়ে তোলা হবে জাহাজ নির্মাণ শিল্প এবং বিশেষ রপ্তানি অঞ্চল। বন্দর সুবিধা কাজে লাগিয়ে এখানে তৈরি হবে তেল শোধনাগার, সার কারখানা। আকাশপথে যোগাযোগের জন্য বিমানবন্দর র্নিমাণসহ চলমান রয়েছে নৌবাহিনীর ঘাঁটি বিএনএস শের-এ-বাংলার র্নিমাণ কাজ।

পর্যায়ক্রমে এটি গভীর সমুদ্রবন্দরের রূপ নিয়ে চার লেনের মহাসড়ক ও ডাবল গেজ রেললাইনে যুক্ত হয়ে পরিপূর্ণভাবে চালু হবে ২০২৩ সালে। বন্দরের পাশেই গড়ে উঠবে এলএনজি টার্মিনাল। ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট কৃত্রিম প্রোতাশয়ের এই বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পায়রা বন্দর নির্মাণে স্বল্পমেয়াদী কার্যক্রম শেষে এখন চলছে মধ্যমেয়াদী কার্যক্রম। এরপরে শুরু হবে শেষ পর্যায়ের দীর্ঘ মেয়াদী কার্যক্রম।

বন্দর সূত্র নিশ্চিত করে, ২০২৫ সালে ৬০বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক বাণিজ্য মেটানো সম্ভব হবে এ বন্দর থেকে। মংলা ও  চিটাগং বন্দরের চেয়ে পণ্য খালাশ করতে পায়রা বন্দর ব্যবহারে প্রতি টণ পণ্যে কমপক্ষে ছয় ডলার খরচ কম হবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনেকটা নির্ভরশীল থাকবে পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে। এ পর্যন্ত এ বন্দর থেকে ২০টি জাহাজ পণ্য খালাশ করায় সরকার রাজস্ব পেয়েছে প্রায় ৪৩ কোটি টাকা। এছাড়া বন্দর আয় করেছে প্রায় তিন কোটি টাকা।

 
বন্দর সূত্রে জানা যায়, ভূমি উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করে ১৬ একর জায়গায় বন্দরের বাউন্ডারি দেয়ালের কাজ শেষ হয়েছে। পাঁচ তলা বিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। নির্মিত হয়েছে দৈনিক দুই হাজার টন নিরাপদ পানি সরবরাহ সম্বলিত পানি শোধনাগার, কাস্টমসসহ নিরাপত্তা ভবন, নদীর পাড় ঘেঁষে অস্থায়ী অফিস ভবন। স্থাপিত হয়েছে লাইটার জাহাজ থেকে পণ্য খালাশের টার্মিনাল, বেইলি ব্রিজসহ সংযোগ সড়ক। সোলার বাতিসহ বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়েছে। সাবমেরিন কেবল সংযোগ স্থাপিত হয়েছে। সাগর মোহনা থেকে মূল চ্যানেলের নেভিগেশনাল বয়া স্থাপন করা হয়েছে।

স্থাপিত হয়েছে সীগন্যাল বাতি। সাগর থেকে চ্যানেলের ইনার সাইটে ২৮টি বয়াবাতি সেট করা হয়েছে। রামনাবাদ থেকে তেতুলিয়া নদীতে বরিশাল হয়ে ঢাকার মেঘনা নদীর হিজলা পর্যন্ত প্রায় ২০ নটিক্যাল মাইল নদী খনন করা হয়েছে। যেখানে পাঁচ মিটার নাব্যতা বজায় রাখা হয়েছে। এ চ্যানেলেও ৪৬টি বয়াবাতি স্থাপন করা হয়েছে। চ্যানেলটিতে ১০ মিটার নাব্যতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে বেলজিয়ামের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। যা শীঘ্রই বাস্তবায়ন হচ্ছে। ইতোমধ্যে ২৩৩ মিটার দীর্ঘ জাহাজ পণ্য নিয়ে মূল চ্যানেলে প্রবেশ করে খালাশ করেছে। সাগরের প্রবেশদ্বার থেকে রামনাবাদ মূল চ্যানেল অভ্যন্তরে শত শত জাহাজ অবস্থানের সুযোগ রয়েছে। 

বন্দর সংলগ্ন ট্রাকস্ট্যান্ডের জন্য প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। বন্দর সার্ভিস সুবিধার জন্য বিভিন্ন ধরনের জলযান (হাই-স্পিড) নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। চালু হয়েছে সিএন্ডএফ এজেন্ট ক্লিয়ারেন্স এবং ইমিগ্রেশনের কাজ। ইতোমধ্যে ৬২ জন বিদেশি নাগরিকের ইমিগ্রেশন সুবিধা দেওয়া হয়েছে এ বন্দর থেকে।

আপাতত সড়ক ও রেলপথ ছাড়াই নৌপথে পণ্য আনা-নেওয়ার মধ্য দিয়েই চালু হচ্ছে বন্দরটি। শুরুতে মাদার ভেসেল থেকে লাইটার জাহাজে নৌপথে পণ্য পরিবহন হবে। এ জন্য লালুয়ার চারিপাড়া পয়েন্টে পন্টুন (জেটি) স্থাপন করা হয়েছে।

বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নৌপথে ঢাকা থেকে উভয় বন্দরের দূরত্ব প্রায় সমান আড়াই শ কিলোমিটার। বড় জাহাজ ভেড়ানোর জন্য কমপক্ষে ৯ মিটার গভীরতা দরকার হয়, সেখানে রামনাবাদ চ্যানেলে জোয়ারের সময়ও ১৪ মিটার পানি থাকে।

ক্ষতিগ্রস্থদের পুর্নবাসন: 

জমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ সাড়ে তিন হাজার পরিবারকে ১৪টি প্যাকেজের মাধ্যমে ৩২ একর জমিতে আধুনিক বহুতল ভবন নির্মাণ করে পুর্নবাসন করা হবে। মোট ৪৯৩ একর জমিতে পুনর্বাসন কাজ করা হবে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পুনর্বাসনে ১০৫৯ কোটি টাকা এবং তাদের প্রশিক্ষণে ২৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এই প্যাকেজে রয়েছে, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের ১৮-৩৫ বছরের ৪২০০ জন সদস্যকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৩৫ ক্যাটাগরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যেখানে কম্পিউটার বেসিক, পোষাক তৈরি, বিউটিফিকেশন, ইলেকট্রনিক্স, ড্রাইভিং, রাজমিস্ত্রি, রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং এছাড়া নানা কারিগরি প্রশিক্ষণের সুযোগ থাকছে। 

জনবল:

পায়রা বন্দর চালু হওয়ায় এখানকার মৌসুমী কৃষি শ্রমিকসহ জেলে পরিবারের অদক্ষ শ্রমিকরা পেয়েছেন কর্মসংস্থান। অন্তত পাঁচশ অদক্ষ শ্রমিক পায়রা বন্দরের কর্মযজ্ঞে শামিল হয়েছেন। স্থানীয়দের অনেকেই পেয়েছেন গাড়ি চালকসহ নিরাপত্তার প্রহরীর চাকরি। বন্দরের কার্যক্রম গতিশীল করতে সরকার অনুমোদিত লোকবলের ১৭৮টি পদের বিপরীতে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সিনিয়র পদবির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ইতিমধ্যে যোগদান করেছে।

ওয়ার হাউস:

বন্দরে আসা মালামাল সংরক্ষণের জন্য প্রায় ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে এক লাখ বর্গফুট আয়তনের ওয়্যার হাউস র্নিমাণ করা হয়েছে। ৪০০ ফুট দৈর্ঘ্য, ২৫০ ফুট প্রস্থ এবং ২০ ফুট উচ্চতার ওয়্যার হাউস থেকে মালামাল ডেলিভারির জন্য ৩২ হাজার ৮০০ বর্গফুট ইয়ার্ড নির্মাণ করা হয়েছে। করা হয়েছে ১১৫০ ফুট দীর্ঘ এবং ২২ ফুট প্রশস্থ আরসিসি সড়ক।

সার্ভিস জেটি:

বন্দরের মূল পন্টুন জেটির পাশেই ২১ কোটি ৩৮ লাখ ৮৫ হাজার ২৬৮ টাকা ব্যয়ে একটি সার্ভিস জেটি নির্মিত হচ্ছে। ২৭ জুন এই সার্ভিস জেটির কাজ শেষ হওয়ার কথা। ৮০ মিটার দীর্ঘ এবং ২৪ মিটার প্রস্থ এই সার্ভিস জেটিতে সরাসরি পাঁচ মিটার ড্রাফট পণ্যবাহী জাহাজ ভিড়তে পারবে।

ড্রেজিং এবং র্টামিনাল: 

ড্রেজিং কার্যক্রম সম্পন্ন হলে পায়রা বন্দর সংশিষ্ট সকল প্রকল্পের উন্নয়ন কার্যক্রম তড়ান্বিত হবে। এমন ধারণায় বন্দরের মূল চ্যানেলে ক্যাপিটাল ও রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিংয়ের কাজ বাস্তবায়নের জন্য পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও এককভাবে সুয়েজ খাল খননের অভিজ্ঞতা থাকা আর্ন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বেলজিয়াম ভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি জান ডি নুল মিলে যৌথ কোম্পানি গঠন করবে। ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর এজন্য চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর জাহাঙ্গীর আলম ও জান ডি নুলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জান পিটার ডি নুল। ২০২০ সালের মধ্যে পায়রা বন্দরে একটি কয়লা বা বাল্ক টার্মিনাল ও একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনাল চালু হবে। 

শিল্প করিডোর:

পণ্য পরিবহনের সুবিধায় মহাসড়কের দুই পাশে শিল্প করিডোর স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। শিল্পায়নের ফলে ব্যাপকহারে কৃষি জমি নষ্ট না করে শিল্পের মালিকরা যাতে যাবতীয় অবকাঠামো সুবিধা পায় এজন্য প্রাথমিকভাবে পায়রা ও বেনাপোল বন্দর থেকে ঢাকা পর্যন্ত মহাসড়কের দুই ধারে শিল্প করিডোর স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বিডা। ভবিষ্যতে আন্ত:দেশিয় মহাসড়কের দুই পাশসহ বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার হয়ে চীনের কুনমিং পর্যন্ত আঞ্চলিক করিডোরের সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

চার লেন সড়ক:

ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের সাথে পায়রা সমুদ্র বন্দরকে সংযুক্ত করতে ২৫৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে র্নিমিত হচ্ছে শেখ হাসিনা ফোর লেন সড়ক। চলতি বছর ১ জানুয়ারি সড়ক নির্মাণ কাজের উদ্বোধনের পর থেকে কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। আধুনিক সুবিধা সংবলিত কংক্রিটের এ সড়কটি নির্মাণের জন্য ৫৮ একর জমি অধিগ্রহণের পর বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও এমএম গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড যৌথভাবে সড়কটির নির্মাণ কাজ করছে। সড়কের উভয় পাশে বৃক্ষরোপণ, প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেতু নির্মাণ, রাস্তার উভয় পাশ বিদ্যুতায়নসহ পাঁচ দশমিক ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ১২ মিটার প্রস্থ সড়কের নির্মাণ কাজ ২০১৮ সালের মধ্যেই শেষ হবে।

পায়রা বন্দর-ঢাকা রেলপথ:

সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের ভিত্তিতে প্রায় ৭৫০ কোটি ডলার (৬০ হাজার কোটি টাকা) ব্যয় ধরে ঢাকা থেকে পায়রা সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত ১৪০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। নির্মাণ পরবর্তী এর পরিচালনার মেয়াদ ধরা হয়েছে ৯৯ বছর। ব্রিটেনের রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েটসের সঙ্গে যৌথভাবে রেলপথটি নির্মাণ করলে কনসেশন পিরিয়ড হবে ৬০ বছর। রেলপথটির ফিজিবিলিটি স্টাডি প্রোপজাল তৈরি করেছিল রেল কর্তৃপক্ষ। এজন্য ব্যয় ধরা হয় ৪২ কোটি টাকা। 

বন্দর চেয়ারম্যান কমোডার জাহাঙ্গীর আলম জানান, ২০২১ সাল থেকে পায়রা বন্দর আর্ন্তজাতিক সমুদ্রবন্দর হিসেবে চালু হবে। বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলে ৬৫০ মিটার দীর্ঘ একটি জেটিসহ টার্মিনাল নির্মাণের জন্য তিন হাজার ৯শ ৮২টাকার ডিপিপিটি নৌমন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। কয়লা টার্মিনাল র্নিমাণ কাজ ২০২০ সালের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। নভেম্বর মাসের মধ্যে ক্যাপিটাল ড্রেজিং এর কাজ শুরু হবে। ক্যাপিটাল ড্রেজিং সম্পন্ন হলে এই বন্দরের মূল চ্যানেলের গভীরতা থাকবে ১৪ দশমিক পাঁচ মিটার। 

সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহবুবুর রহমান এমপি বলেন, পায়রা বন্দর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফসল। দখিনের অবেহেলিত এবং বারবার প্রকৃতিক দুর্যোগে বিধ্বস্ত এ জনপদের মানুষকে উন্নত জীবন ধারায় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করতে পায়রা বন্দর উন্নয়নের কাজ করছেন।  

তৃতীয় সমুদ্রবন্দর হিসেবে পায়রার কার্যক্রম চালুর সুবাদে সামগ্রিকভাবে বদলে যাবে এ অঞ্চলের সামাজিক ও অর্থনৈতিক চিত্র। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃস্টি হবে এলাকার হাজার হাজার মানুষের। চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়তে পারে না এমন বড় জাহাজ জোয়ার-ভাটার অপেক্ষা না করে সারা বছরই ভিড়তে পারবে পায়রা বন্দরে। বর্হিনোঙর থেকে সারা দেশে সহজেই পৌঁছানো যাবে আমদানি-রপ্তানি পণ্য। নেপাল ও ভুটান খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারবে এই বন্দর। এমনকি বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমারের প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক করিডর বিসিআইএমের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠবে পায়রা এমনটিই আশা সংশ্লিস্টদের। 

Bootstrap Image Preview