Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

ময়মনসিংহ-৯ঃ প্রচারণায় ব্যস্ত মনোনয়ন প্রত্যাশীরা

মোঃ রমজান আলী, নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬ নভেম্বর ২০১৮, ০৪:০৮ PM
আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৮, ০৪:০৯ PM

bdmorning Image Preview


আসন্ন একাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনে সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে চলছে দৌড়ঝাঁপ। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাসদ, জাতীয় পার্টি ও ইসলামী আন্দোলন থেকে প্রায় দেড় ডজনেরও বেশী মনোনয়ন প্রত্যাশী মাঠে রয়েছে। তারা নিজেদের যোগ্য মনে করে নির্বাচনী প্রচারণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রার্থীগণ স্ব-স্ব দলের চেয়ারপার্সন ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ সহ নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণের পথ খুজে বেড়াচ্ছেন।

তবে এই আসনে বিএনপি’র থেকে আওয়ামী লীগে মনোনয়ন প্রার্থীদের মধ্যে তোড়জোড় বেশী লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আসনটিতে বড় দু’টি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র মধ্যে কোন্দল বিরাজ করছে। ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই প্রধান দুটি দল কয়েক ভাগে বিভক্ত রয়েছে।

সাবেক সাংসদ মেজর জেনারেল (অব:) আব্দুস সালাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সাংসদ আনোয়ারুল আবেদীন খাঁন তুহিন উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক দাবি করে পৃথক পৃথক ভাবে কমিটি করে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা, মামলা ও হয়রানীর অভিযোগ তুলেছেন।

জানাযায়, এই আসনটি ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভা নিয়ে গঠিত। যাতে ১১৫টি ভোট কেন্দ্রের বিপরিতে ভোটার সংখ্যা রয়েছে প্রায় ৩ লাখ। স্বাধীনতা সংগ্রামের পর থেকে দশটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নান্দাইল আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক ৫ বার, বিএনপি’র ধানের শীষ ৪ বার ও জাপা’র লাঙ্গল প্রতীক ১ বার বিজয়ী হয়। তার মধ্যে ৩টি নির্বাচনেই বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় প্রার্থীগণ সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন।

তন্মধ্যে ১৯৭৩ সালে নৌকা প্রতীকে মরহুম রফিক উদ্দিন ভূইয়া, ১৯৮৮ সালে লাঙ্গল প্রতীকে খুররম খান চৌধুরী এবং সর্বশেষ ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারী ভোট বিহীন নির্বাচনে বর্তমান সাংসদ আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় সাংসদ নির্বাচিত হন। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা আশঙ্কা করছেন এবারের নির্বাচনে যোগ্য ও দক্ষ প্রার্থী না হলে আসনটি হারাতে পারে আওয়ামীলীগ।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নান্দাইল আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য ৯জন মনোনয়ন প্রত্যাশী। তার তুলনায় বিএনপিতে ৫জন এবং জাপা, জাসদ ও ইসলামী আন্দোলনে একক প্রার্থী প্রচারণা চালাচ্ছে।

বর্তমান সংসদ আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন:- ‘বর্তমান সরকারের উন্নয়ন তথ্য তুলে ধরে নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছেন।

ইতিমধ্যে তার নেতৃত্বে ১১৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১০৯টি ভোট কেন্দ্র নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এবং পৌর সদর, উপজেলা, ১৩টি ইউনিয়ন ও প্রতিটি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি বঙ্গবন্ধু কর্তৃক মনোনীত পাকিস্তানের শেষ নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য প্রার্থী প্রয়াত আবদুল আলিম আকন্দের দৌহিত্র, ময়মনসিংহ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভানেত্রী জাহানারা খান ও ময়মনসিংহে প্রথম বঙ্গবন্ধু পরিষদ গঠন ও তার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. জয়নুল আবেদীন খানের একমাত্র ছেলে।

সংসদ সদস্য তুহিন বলেন, নান্দাইল পৌরসভাকে ‘গ’ শ্রেনী থেকে ‘খ’ শ্রেনীতে উন্নীত করা হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনতে মুসুল্লী এলাকায় স্থাপিত করা হচ্ছে বিদ্যুৎ সাবস্টেশন। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জনেনেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমি শ্রদ্ধ্যা ও আস্থাশীল। নান্দাইলের তুলনামূলক উন্নয়ন ও মানুষের দোয়ায় পুনরায় নেত্রী আমাকে মনোনীত করবেন বলে আমি আশাবাদী ও অত্র আসনে নৌকার বিজয় ঘোষণা করব।

সাবেক সাংসদ মেজর জেনারেল অব: আব্দুস সালাম:- তিনি নান্দাইল আসনে আওয়ামী লীগ থেকে দুইবারের জাতীয় সংসদ সদস্য হিসাবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি পুনরায় নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসাবে এলাকায় নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ও নির্বাচন প্রস্তুতি কার্যক্রমে তাঁরই নেতৃত্বে নান্দাইল পৌরসদর সহ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও প্রতিটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

দলীয় নেতৃবৃন্দ বলেন,‘আওয়ামী লীগের প্রকৃত নেতাদের দূরে রাখায় নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীরা নৌকার আসন ধরে রাখতে ও জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে মেজর জেনারেল অব: আব্দুস সালামের পক্ষে মনোনয়ন আহ্বান করেন।’

মেজর জেনারেল অব: আব্দুস সালাম বলেন, উন্নয়নের রূপকার জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নান্দাইলে নৌকার জয় সুনিশ্চিত করতে তাঁর চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

ডেপুটি এর্টনী জেনারেল এ্যাডভোকেট আব্দুল হাই:- ২০০৮সনে আওয়ামী লীগ থেকে “নৌকা প্রতীকে” মনোনয়ন প্রাপ্ত হয়েছিলেন। দলের স্বার্থে পরে তিনি নৌকা হস্তান্তর করে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা হিসাবে ভূমিকা পালন করেন। তিনি বলেন,“ নান্দাইলে আওয়ামী লীগে কয়েক ভাগে বিভক্তি থাকায় এই আসনে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করতে নতুন প্রয়োজন। জনগণ নতুন মুখ চায়। মনোনয়ন বিষয়ে বলেন, জনগণের মাঝ তাঁর ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নেত্রী এই আসনে তাঁকে মনোনয়ন দিবেন বলে খুবই আশাবাদী। জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকেই নৌকা দিবেন তার পক্ষেই কাজ করে যাবেন।

প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান খান:- আসন্ন ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন  ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসেন আওয়ামী লীগ থেকে এমপি পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী, বাংলাদেশ আওয়ামী কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক) সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোস্তাফিজুর রহমান খান। মোস্তাফিজুর রহমান খানের পিতা মোঃ মজনু খান নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন প্রবীন নেতা। "নৌকা এনে দিয়েছে স্বাধীনতা, নৌকা এনে দিয়েছে সমৃদ্ধি" এই স্লোগান সম্বলিত লিফলেটের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ স্কুল, কলেজ, মাদরাসার সামনে, রাস্তা-ঘাট সহ বিভিন্ন হাট-বাজারে অগণিত ব্যানার, ফেষ্টুন লাগিয়ে নৌকার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, নান্দাইল আসনে নেত্রী যাকেই মনোনয়ন দিবেন আমি তাঁর সাথেই কাজ করে যাবো। তিনি দৃঢ় আশাবাদী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে মনোনয়ন দিবেন এবং ময়মনসিংহ-৯ আসনটি বিপুল ভোটে বিজয়ের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নৌকা উপহার দিতে পারবেন।

ড. এ আর খান:- ২০০৮সন থেকে নান্দাইলে আওয়ামী রাজনীতি ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে সরাসরি জড়িত। ইতিমধ্যে প্রায় ২০০টি গ্রামে তিনি পায়ে হেটেঁ জনগণের সার্বিক অবস্থা অবলোকন করেছেন। নান্দাইলের বিভাজিত আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ ও নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে অত্র আসনে আওয়ামী লীগের নতুন মুখ প্রয়োজন”। ‘আমি বিভাজনে বিশ্বাসী নই, ঐক্যে বিশ্বাসী। তিনি বলেন, নান্দাইলে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ময়মনসিংহ-৯ আসনে নতুন মুখ আসলে আর কোন বিভাজন থাকবে না বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আর এই আসনে নতুন মুখ আসবে এতে কোন সন্দেহ নেই। তাঁর পক্ষ থেকে মনোনয়ন প্রাপ্তীর বিষয়ে চেষ্টার কোন ত্রুটি করা হবে না। বাকিটা নেত্রীর ইচ্ছা’।

এডভোকেট কবির উদ্দিন ভূঁইয়া:- দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিন। আওয়ামী লীগ ছাড়া এদেশে উন্নয়ন সম্ভব নয়। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল, তাই দেশের উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে হলে ও স্থিতিশীল রাখতে এবারও আওয়ামী লীগ সরকারকে নির্বাচিত করতে হবে। তিনি আরো বলেন, এই আসনে নতুন মুখ আসবে এতে কোন সন্দেহ নেই। তার পক্ষ থেকে মনোনয়ন প্রাপ্তীর বিষয়ে চেষ্টার কোন ত্রুটি করা হবে না।  জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকেই নৌকা দিবেন তার পক্ষেই কাজ করবেন।

আব্দুল মালেক চৌধুরী স্বপন:- দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখার জন্য শেখ হাসিনার সরকার পুনরায় দরকার। তিনি বিভিন্ন সময় জনসমাবেশের মাধ্যমে দলের নেতাকর্মীদের নৌকার পক্ষে জোড়ালে ভাবে  জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তুলে ধরে ঘরে ঘরে প্রচারনা চালানোর আহবান জানান।

মনোনয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি মনোয়ন পেলে এবং নির্বাচিত হলে নান্দাইলে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদক মুক্ত উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলব এবং শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে দ্রুত এগিয়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাব। এছাড়াও রয়েছেন এ আসনের আরেক তরুণ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্য শাজাহান কবির সুমন এই আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন। এছাড়াও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এডিএম সালাউদ্দিন হুমায়ূন, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা জালাল উদ্দিন মাস্টার, বুলবুল এই আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী।

বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছে ৫জন। তাদের মধ্যে চারবারের সাবেক এমপি ও ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক খুররম খান চৌধুরী। সাবেক এমপি খুররম খান চৌধুরীর নেতৃত্বে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে পুনরুদ্ধারের আশা করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। খুররম খান চৌধুরী বলেন, আমার হাত ধরেই নান্দাইলে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। দলীয়ভাবে তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে তিনি খুবই বিশ্বাস করেন।

এ.কে.এম রফিকুল ইসলাম:- দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলকে সুসংগঠিত করার পাশাপাশি সমাজের অসহায় মানুষের জন্য কাজ করছেন। তিনি সৌদি আরব পূর্বাঞ্চল বিএনপি’র সভাপতি। ২০০৮ সন থেকে বিএনপি’র মনোনয়নের জন্য চেষ্টা সহ নান্দাইল উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসায় দান-অনুদান ও অসহায় নির্যাতিত মানুষের পাশে অর্থনৈতিক সহযোগীতা নিয়ে দাড়িয়েছেন। বিএনপি’র নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে কয়েকটি মামলার আসামি হয়ে গ্রেফতার সহ জেল হাজত খেটেছেন।

তিনি বলেন, বিএনপি থেকে তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হলে দলীয় সকল নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে কাজ করবেন। অপরদিকে আরেক বিএনপি নেতা বিএনপি থেকে এমপি পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী, বার বার কারা নির্যাতিত সাবেক পৌর মেয়র এ.এফ.এম আজিজুল ইসলাম পিকুল। তিনি উপজেলা সহ বিভিন্ন এলাকায় বিএনপিকে শক্তিশালী করা এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। বিগত দিনের আন্দোলন-সংগ্রামের কারণে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক দায়ের করা প্রায় ৩৮টি মামলা সহ একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছেন। অন্য কেউ যদি বিএনপির দাবিদার হতো, তাহলে তাদের নামেও মামলা থাকত। তাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে সকল নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সকল বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে পারবেন। তাই আগামী নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে হাইকমান্ড বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন।

এমডি মামুন বিন আব্দুল মান্নান:- নান্দাইলকে নতুন করে সাজাতে তাঁর চেষ্টা অব্যাহত খাকবে। তিনি মালয়েশিয়া বিএনপি’র প্রকাশনা সম্পাদক। তিনি নান্দাইল উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা সহ অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের সহযোগীতা সহ দলীয় কার্যক্রম নিয়ে নিজের অবস্থান মজবুত করে রেখেছেন। মনোনয়ন প্রসংঙ্গে তিনি বলেন, নান্দাইলের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সহ নির্বাচনী বোর্ড অবহিত আছেন। তিনি আরো বলেন, দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিদাবিসহ বর্তমান সরকার ক্ষমতা থেকে অব্যাহতি নিয়ে নিরপেক্ষ সরকার গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন হবে এই আশা ব্যক্ত করেন।

ইয়াসের খাঁন চৌধুরী: নান্দাইল আসনের (বিএনপি) সাবেক এমপি আনোয়ারুল হোসেন খান চৌধুরীর সুযোগ্য পুত্র তথ্য ও প্রযুক্তিবিদ ইয়াসের খাঁন চৌধুরী (বিবিসি লন্ডন)। যিনি তারুণ্যদের সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র হাতকে শক্তিশালী করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে ধানের শীষ উপহার দিবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।   

অপরদিকে ১৪দলীয় জোট থেকে নান্দাইল আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী এডভোকেট গিয়াস উদ্দিন। তিনি বলেন, জাসদের কেন্দ্রীয় সভাপতি তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু নান্দাইলে সমাবেশ করে এই আসনটি ১৪ দলীয় জোটের পক্ষে জাসদের প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রাপ্তির বিষয়ে কেন্দ্রে জোরালো ভূমিকা পালন করছেন। মনোনয়নের ব্যাপারে জাসদের হাই কমান্ড জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট এই আসনটি জাসদকে অর্ন্তভূক্ত করার জন্য ইতি মধ্যেই দাবি জানানো হয়েছে। তিনি আশাবাদী জননেত্রী শেখ হাসিনা নান্দাইল আসনটি জাসদকে ছেড়ে দিবেন।

উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক মো. আমরু মিয়া বলেন, নান্দাইল আসনের বিজয় ধরে রাখতে হলে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করে পুনরায় সরকার গঠন করতে হলে নান্দাইল আসনে এ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন ছাড়া বিকল্প নেই।  

হাসনাত মাহমুদ তালহা:- নান্দাইলে আওয়ামী লীগের কোন্দল দৃশ্যমান মারামারি, মামলা এবং খুনের ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামীলীগের শরীক দল হিসাবে জাতীয় পার্টিকে এই আসনে মনোনয়ন দেওয়া হলে বিজয় নিশ্চিত হবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (পীর সাহেব চরমোনাই) নান্দাইল উপজেলা শাখার সভাপতি উপাধ্যক্ষ মুফতি সাইদুর রহমান মনোনয়ন প্রত্যাশী। এখানে অন্য কেউ দলীয় মনোনয়ন চাইছেন না। তাই তিনি একক সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। জাকের পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ শফিকুল আলম প্রচার- প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। 

Bootstrap Image Preview