গ্রাম থেকে শহরে, কোথাও বাদ যাচ্ছে না এসএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার সংস্কৃতি। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে দ্বিগুণ-তিনগুণ টাকা। এ যেন প্রকাশ্যেই ডাকাতি!
বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কম হয়নি, এখনও হচ্ছে। অনেক শিক্ষককে বহিষ্কারের ঘটনাও কম ঘটেনি এই অনিয়মের জন্য। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ মানছেই না। তাই এই অনিয়মের অবসান ঘটাতে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চালানো হচ্ছে মাঠ অভিযান। দুদক হটলাইনে (১০৬) নেওয়া হচ্ছে অভিযোগ। টিম চলে যাচ্ছে অভিযোগ আসা স্কুলগুলোতে।
দুদক সূত্রে জানা জায়, রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হচ্ছে। এই অভিযান চলবে।
এ দিকে আজ রবিবার রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার সালেহা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুদক অভিযান চালায়। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১৫শ' টাকার ফি নেওয়া হচ্ছিল ৪ হাজার টাকা।
দুদকের অভিযান কেন্দ্রের হটলাইন ১০৬-এ ফোন দিয়ে অভিযোগ জানালে তাৎক্ষণিকভাবে ওই স্কুলে অভিযান চালায় দুদক বিশেষ টিমের সদস্যরা।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম অনিয়মের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি ক্ষমা চেয়ে দুদকের কাছে জানান, এখন থেকে কোনো অবস্থাতেই ফরমপূরণে নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হবে না।
পরবর্তীতে টিম সদস্যদের সামনেই স্কুল কর্তৃপক্ষ এই মর্মে নোটিশ ইস্যু করে- ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক শাখার ছাত্রদের ফরম পূরণ বাবদ নির্ধারিত ১৮শ' ৪০ টাকা এবং বিজ্ঞান শাখার ছাত্রদের নির্ধারিত ১৯শ' ৫০ টাকা হারে ফরম পূরণের ফি জমা দিতে হবে।
অভিযান প্রসঙ্গে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) সারোয়ার মাহমুদ মন্তব্য করেন, ফরম পূরণে সরকার নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া সম্পূর্ণ অনৈতিক।