Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

ফেসবুকের পোস্টে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেলেন বিধবা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ নভেম্বর ২০১৮, ১০:০৯ PM
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৮, ১০:০৯ PM

bdmorning Image Preview


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেখে আমেনা খাতুনের (৫০) পাশে দাঁড়ালেন ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জেবুন নাহার শাম্মী। আমেনাকে জমিসহ ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার আমেনা খাতুন ইউএনও’র অফিসে যাওয়ার পর তাকে দুই শতাংশ জমিসহ ঘর করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন জেবুন নাহার।

স্থানীয় এক সাংবাদিকের লেখা স্ট্যাটাস থেকে জানা যায়, অসহায় সহায়-সম্বলহীন আমেনা খাতুনের বিয়ে হয় দিনমুজুর আলী হোসেনের সঙ্গে। সেখানে নানা অত্যাচার সহ্য করে সংসার করলেও এক সময় স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে। প্রায় ৩০ বছর আগে বিধবা হন তিনি। সেই থেকে অসহায় জীবন শুরু হয় আমেনার। তারপর থেকে বিভিন্ন বাসা বাড়ি কাজ করে জীবন চলে তার। একপর্যায়ে ঠিকানা হয় ফুলপুর উপজেলার ফুলপুর ইউনিয়নের কাজিয়াকান্দা পাইকপাড়া গ্রামের আব্দুল আজিদের বাড়িতে। বর্তমানে সে বাড়িতেই থাকছেন তিনি। জীবিকার জন্য কাজ করছেন অন্যের বাড়িতে। ফুলপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ তার অসহায়ত্ব দেখে একটি বিধবা কার্ড করে দিয়েছিলেন। সেখান থেকে মাসে ৪০০ টাকা করে পেতেন আমেনা। বর্তমান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের কাছে গিয়ে একটি ঘরের দাবি করলে আগের ইউএনও রাশেদ হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করার পরামর্শ দেন তিনি। পরে ইউএনও তার অসহায়ত্বের কথা শুনে একটি সেলাই মেশিন দেন।

সরকারি সাহায্য হিসেবে একটি কার্ড ও ইউএনও’র দেওয়া সেলাই মেশিন ছাড়া বর্তমানে তার কোনো সম্বল নেই। সরকারি খাস জমি বরাদ্দ করে একটি সরকারি ঘর দেওয়া হলে আমেনা নিজের ঘরে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেত।

ফেসবুকের এমন একটি পোস্ট পড়ে বর্তমান ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেবুন নাহার শাম্মী অসহায় আমেনা খাতুনের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। তাই ফেসবুক স্ট্যাটাসে কমেন্ট করে আমেনাকে তার অফিসে দেখা করতে বলেন।

ইউএনও জেবুন নাহার শাম্মী বলেন, ‘ফেসবুকে অসহায় আমেনা খাতুনের কথা জানার পর তার পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই। তাই ফেসবুক স্ট্যাটাসে কমেন্ট করে আমেনাকে আমার অফিস দেখা করতে বলি। এরপর তাকে দুই শতাংশ জায়গাসহ ঘর তুলে দেওয়ার কথা জানাই।’

ইউএনও আরও বলেন, ‘গরিব, অসহায় মানুষের সেবায় তাদের পাশে আমি সবসময় আছি এবং থাকব। অসহায় আমেনা খাতুনের কথা জেনে আমি প্রথমে দুই শতাংশ জমির ব্যবস্থা করছি। পরে সেই জমিতে ঘরের ব্যবস্থা করে দেব।’

Bootstrap Image Preview