Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

গাইবান্ধা-৫ঃ আওয়ামী লীগ- জাতীয় পার্টি বিভক্ত, নাজুক অবস্থানে বিএনপি 

মোস্তাফিজুর রহমান, সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি   
প্রকাশিত: ০২ নভেম্বর ২০১৮, ০২:১৩ PM
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৮, ০২:১৫ PM

bdmorning Image Preview


সাঘাটা ও ফুলছড়ি দুই উপজেলা নিয়ে গাইবান্ধা-৫ আসন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাঘাটা-ফুলছড়িতে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া না পাওয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে নানা জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে। দলীয় কোন্দলের কারণে বর্তমান সরকার দল আওয়ামী লীগ ও শরিক দল জাতীয় পার্টি এখানে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে বিএপি’র নেতা-কর্মীরা দলের সভা সমাবেশ, মিছিল, মিটিং দীর্ঘ দিন ধরে করার সুযোগ না পাওয়ার দলটি এখন নাজুক অবস্থানে রয়েছে। 

তারপরও নির্বাচনকে সামনে রেখে এ আসন থেকে ছয়বার নির্বাচিত এমপি বর্তমান জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন ছাড়াও সাবেক অবিভক্ত বাংলার কৃষিমন্ত্রী মরহুম আহম্মেদ হোসেন উকিল এর নাতী আওয়ামী লীগ নেতা মাহাবুবুর রহমান নিটল নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী দৌড়ে  রয়েছেন।

এদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান বর্তমান গাইবান্ধা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার, ফুলছড়ি উপজেলা জাতীয় পার্টিও সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ আলী ও সাঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জুর নাম শোনা যাচ্ছে মনোনয়ন প্রত্যাশী দৌড়ে। 

এরই মধ্যে ফজলে রাব্বী মিয়ার পাশাপাশি মাহমুদ হাসান রিপন ,মাহাবুবুবর রহমান নিটল আগে থেকেই জনসমর্থন বাড়াতে সভা সমাবেশ ও  গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন।

এছাড়া ও মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ মোহাম্মদ আলী, বিএনপি নেতা মঈনুল ইসলাম শামীম,হাসান আলী, রাহিনুল ইসলাম রাহি, নাজেমূল ইসলাম নয়ন, জাসদের ডাঃ একরামুল হক কমিউনিষ্ট পার্টির যগেশ্বর বর্মন, ওয়ার্কাস পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য আমিনুল ইসলাম গোলাপের নাম শোনা যাচ্ছে। তারা সভা সমাবেশ না করলেও বসে নেই, দলীয় নেতা কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে এলাকায় এলাকায় গিয়ে গণসংযোগ করে এলাকায় নিজেদের পক্ষে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন।

সাঘাটা ফুলছড়ি নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের পক্ষে আগের চেয়ে অনেকটা জন সর্মথন বাড়লেও উপজেলা আওয়ামী লীগের কোন্দলের কারণে উপজেলায় আলাদা কমিটি রয়েছে। তাদের একটি ডেপুটি স্পীকার এ্যাড. ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি পক্ষে অপরটি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন ছাড়াও মাহবুবুর রহমান নিটল সরকারের পক্ষে নেতারা অবস্থান নিয়ে নিজেদের পক্ষে দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে লবিং করছেন। ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি নির্বাচিত হয়ে বর্তমানে সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছেন। আগামী নির্বাচনে তিনি আবারো নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছেন বলে তার দলীয় নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা দাবি করছেন।

অপরদিকে জাতীয় পার্টির দুর্গ হিসেবে পরিচিত গাইবান্ধা-৫ আসনটিতে এবার জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদ না থাকায় প্রার্থী হিসেবে ৩ জনের নাম শোনা যাচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টি বিভক্ত হয়ে পড়েছে। পার্টি নেতা কর্মীদের কোন্দল নিরসন না হলে এবারও এ আসনটি জাতীয় পার্টির পক্ষে পুনঃউদ্ধার করা সম্ভব হবে না বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল মনে করেন। সাঘাটা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এ্যাড. গোলাম শহীদ রঞ্জু জানান দীর্ঘ দিন ধরে পার্টি’র জন্য মাঠে ময়দানে কাজ করে আসছি।

একারণে পার্টি’র চেয়ারম্যান আমাকেই মনোনয়ন দিবেন বলে আমার বিশ্বাস। আর মনোনয়ন পেলে জাতীয় পার্টি’র এ আসনটি উদ্ধার হবে। অপরদিকে জাতীয় পার্টির অপর দুই প্রার্থী আতাউর রহমান সরকার ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ আলী মনোনয়নে পেতে কেন্দ্রে লবিং করছেন। নির্বাচনকে ঘিরে দলগুলোর মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ইতিমধ্যেই এলাকা এলাকায় নেতা কর্মীদের নিয়ে ব্যানার, পোষ্টার লাগানো, লিফলেট বিতরণ, গণসংযোগ, উঠান বৈঠক সভা সমাবেশ, শোডাউন করাসহ নিজেদের পক্ষে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ আসনটিতে স্বাধীনতার পর পরেই একবার বিএনপির টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন রোস্তম আলী মোল্লা। পরবর্তী জাতীয় সংসদ কোন নির্বাচনেই বিএনপি’র প্রার্থীরা সুবিধা জনক অবস্থানে পৌছিতে পারেনি। এমন কি বিগত নির্বাচনে ৪ দলীয় প্রার্থী হয়েও সুবিধা জনক অবস্থানে পৌছা সম্ভব হয়নি। বিএপি’র অবস্থা আরো নাজুক হলেও এবারে তৃণমূল নেতাকর্মীদের পাশে থেকে কাজ করছেন সাঘাটা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ মোহাম্মদ আলী, উপদেষ্টা রাহিদুল ইসলাম রাহী,মঈনুল ইসলাম শামীম। 

তারা বিগত সময়ে নেতাকর্মীদের মামলা পরিচালনায় সহযোগিতা সহ দলীয় বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে চলেছেন। এ ৪ নেতা জানান, স্থানীয় রাজনীতিতে দলীয় কোন্দল নেই। কেন্দ্র যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষেই সবাই কাজ করব।  

Bootstrap Image Preview